রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৭, ০৯:২২:১২

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণে চরমোনাই পীরের আন্দোলন ঘোষণা

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণে চরমোনাই পীরের আন্দোলন ঘোষণা

বরিশাল প্রতিনিধি: গ্রিক দেবির মূর্তি সুপ্রিম কোর্ট থেকে অপসারণ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন চরমোনাই পীর। রবিবার শিক্ষানীতি ও প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন বাতিলের দাবি এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতন বন্ধে জনমত গঠনের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলনের বরিশাল বিভাগীয় মহাসমাবেশে এই ঘোষণা দেন তিনি।

চরমোনাই পীর ও দলটির আমির মাওলানা সৈয়দ মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘একটি মহলকে খুশি রাখার জন্য মূর্তি স্থাপন করা হচ্ছে। এর সঙ্গে মুসলিম সংস্কৃতির কোনও সম্পর্ক নেই।’

পাঠ্যপুস্তকের সিলেবাস সংশোধন করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ‘আন্দোলনের মুখে সরকার সিলেবাস সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু ধর্মবিরোধী শিক্ষা আইন ও শিক্ষানীতি এখনও বাতিল করা হয়নি।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর আরও বলেন, ‘দেশকে ৪৭’ এর পূর্বাবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশের শিক্ষানীতি নিয়ে নাস্তিকবাদ গোষ্ঠী নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের ধর্ম, বিশ্বাস ও আমাদের স্বকীয় সংস্কৃতি ধ্বংস করার গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ ও শিক্ষা আইন ২০১৬ সেই ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা এর প্রতিবাদ করেছিলাম। সরকার আমাদের আপত্তি তোয়াক্কা না করে একতরফাভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুমোদন দিয়েছে। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে গুটিকয়েক নাস্তিক-মুরদাতের প্রণীত শিক্ষানীতি কোনদিনই বাস্তবায়ন করা যাবে না।’

হিন্দু সহ অন্য ধর্মলম্বীদের জন্য পৃথক পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা বহাল রাখার আহ্বান জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ‘মুসলমান ছেলে-মেয়েদের জন্য হিন্দু ধর্মীয় বিষয়ে পাঠদান বাধ্যতামূলক করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’

চরমোনাই পীর দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ‘গ্রিস দেবী’র ভাস্কর্য্য স্থাপনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সরকারকে ইসলাম বিরোধী এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও বরিশাল মহানগর সভাপতি মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব মো. ইউনুস আহমেদ, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, নাসির আহম্মেদ কাওছার, মুফতি এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের, মাওলানা নেছারউদ্দিন, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।-বাংলা ট্রিবিউন
১৫ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে