রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৭, ০৯:৩৭:৪৫

গুলি-বোমাবাজি করে ৫০০ ভরি স্বর্ণ লুট

গুলি-বোমাবাজি করে ৫০০ ভরি স্বর্ণ লুট

বগুড়া : বগুড়া শহরে গুলি করে এবং ককটেল ফাটিয়ে একটি জুয়েলার্সে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা ৫০০ ভরি সোনার গহনা এবং ৫ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।

শনিবার সন্ধ্যায় শহরের এমএ খান লেনের গোল্ডেন মার্কেটে আল-হাসান জুয়েলার্সে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

গুলি ও ককটেলের আঘাতে দোকানের মালিকসহ চারজন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ প্রায় নয় কিলোমিটার দূরে শাজাহানপুর উপজেলায় গুলি করে এক ডাকাতসহ মাইক্রোবাস আটক করেছে। লুট করা কিছু স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।

আহতরা হলেন- জুয়েলার্সের মালিক বগুড়া শহরের উত্তর জয়পুরপাড়ার আহমদ আলীর ছেলে গোলজার রহমান (৫৮), পথচারী শাজাহানপুর উপজেলার চকলোকমান এলাকার মোস্তফা কাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৫৫) ও ডেমাজানি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে জাকির হোসেন (৪০) এবং ডাকাত পাবনার আতাইকুলা উপজেলার কাজীপুর গ্রামের টুকু লস্করের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ৬/৭ জনের একদল ডাকাত শহরের সাতমাথার কাছে এমএ খান লেনের গোল্ডেন মার্কেটের সামনে আল-হাসান জুয়েলার্সের সামনে মাইক্রোবাস নিয়ে থামে।

একপর্যায়ে ২/৩ জন ক্রেতা সেজে জুয়েলার্সে আসে। তারা হঠাৎ মুখোশ পরে মালিক গোলজারের পায়ে গুলি করে। এরপর অস্ত্রের মুখে মালিক ও কর্মচারীদের জিম্মি করে সিন্দুকের চাবি নেয়।

জুয়েলার্সের মালিক গোলজার রহমান দাবি করেন, ডাকাতরা সিন্দুক খুলে এবং শোকেস ভেঙে প্রায় ৫০০ ভরি সোনার গহনা ও নগদ পাঁচ লক্ষাধিক টাকা বস্তায় ঢুকিয়ে নিয়ে যায়। জুয়েলার্সের সিসি ক্যামেরার ডিভাইসও খুলে নেয় তারা।

এরপর ডাকাতরা মাইক্রোবাসে দক্ষিণ দিকে পালিয়ে যায়। যাওয়ার আগে তারা ৩/৪টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটালে আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং পথচারীরা ছোটাছুটি করতে থাকেন। ককটেলের আঘাতে পথচারী রবিউল ও জাকির হোসেন আহত হন।

এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

পুলিশ বগুড়ার শাজাহানপুরের নয়মাইল এলাকায় গুলি করে মাইক্রোবাস থামতে বাধ্য করে। সেখানে গুলিতে ডাকাত আলমগীর হোসেন আহত হয়।

পুলিশ সুপার জানায়, তাৎক্ষণিকভাবে লুটের পরিমাণ বলা সম্ভব নয়। ২/৩ জন আহত হয়েছেন। কিছু স্বর্ণালংকার ও মাইক্রোবাসসহ এক ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য ডাকাতদের গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে প্রকাশ্যে জনবহুল মার্কেটে ডাকাতির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। মার্কেটে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে র‌্যাব ও থানা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
১৫ জানুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে