শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৭:৩৭:৫১

বগুড়া ৪ আসনে হিরো আলমসহ জনতার মুখোমুখি পাঁচ প্রার্থী

বগুড়া ৪ আসনে হিরো আলমসহ জনতার মুখোমুখি পাঁচ প্রার্থী

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া ৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনে মাদক-দুর্নীতিমুক্ত, টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী বন্ধ রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করলেন হিরো আলমসহ পাঁচজন সংসদ সদস্য প্রার্থী।

আজ শনিবার দুপুর ১২ টায় কাহালু পৌর মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত ‘জনগণের মুখোমুখি’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তারা এই অঙ্গীকার করেন।

সুশাসনের জন্য নাগরিক আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা কমিটির সভাপতি আব্দুস ছাত্তার। অনুষ্ঠানে মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) জীবন রহমান উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন বলেন, আমি নির্বাচিত হলে সকলকে সাথে নিয়ে নন্দীগ্রাম-কাহালু উপজেলাকে বাংলাদেশের মধ্যে একটি মডেল উপজেলা গড়ে তুলবো। মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত যুবসমাজকে গড়ে তোলা হবে। রাস্তাঘাট ও শিক্ষার মান উন্নয়ন করা হবে। যদি বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আছে তাহলে বগুড়াতে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, বিমান বন্দর, রেল লাইন করার চেষ্টা করবো। আপনাদের নিয়ে আমি আগামী দিনে সুন্দর সমাজ গড়তে চাই। এ জন্য সবার সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।

আলোচিত সতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম বলেন, আমি হিরো আলম সাহস করে আজকে ভোটে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা থেকে একটা করে হিরো আলম সাহস করে দাঁড়ায়। তাহলে বাংলাদেশ একদিন সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। ভোটে আমরা যখনই দাঁড়াই তখন নেতারা অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখান। কিন্তু ভোট চলে গেলে কিছুই করি না। তাই বৃক্ষ কি ফলে পরিচয়। আমার দাঁড়াই আপনাদের উপকার না হলে ক্ষতি হবে না। সবাই হিরো আলমের সাথে কথা বলতে পারেন। আপনাদের পাশে থাকতে চাই, আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং সিংহ মার্কায় ভোট দেবেন।

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ইদ্রিস আলী বলেন, এই নির্বাচনে আমাদের স্লোগান হলো দু:শাসন, দুর্নীতি ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য প্রত্যয় নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। নির্বাচিত হলে সুষম বণ্টন হবে, শিক্ষা নীতির পরিবর্তন হবে, শিক্ষানীতিকে আমরা নৈতিক শিক্ষার দিকে নিয়ে আসবো। এদেশকে একটি মাদক, সন্ত্রাসমুক্ত হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আয়ুব আলী বলেন, আমি নির্বাচিত হলে প্রথমেই শুরু করবো স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও মাদক ব্যবসা প্রতিহত করবো।

তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী কাজী এম এ কাশেম বলেন, নির্বাচিত হলে দুই উপজেলায় দুটি অফিস থাকবে। সর্বসাধারণ আমার সাথে জরুরি বিষয় নিয়ে সরাসরি কথা বলতে পারবে। অসহায়দের জন্যে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। রাস্তা-ঘাট উন্নয়নের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুশাসনের জন্য নাগরিক কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার, আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শশাঙ্ক বরণ রায়, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন ইসলাম তুহিন প্রমূখ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে