শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৬, ০৪:২৮:০৪

চুয়াডাঙ্গা- ঝিনাইদহ মহাসড়কের কাজ বন্ধ, বাড়ছে জনদুর্ভোগ

চুয়াডাঙ্গা- ঝিনাইদহ মহাসড়কের কাজ বন্ধ, বাড়ছে জনদুর্ভোগ

শামসুজ্জোহা পলাশ, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কটির নির্মাণ কাজ ৩ বছর আগে শুরু হলেও গত এক বছর যাবৎ তা বন্ধ রয়েছে। গত এক বছর ধরে এই সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ না করে ভাঙ্গাচোরা অবস্থায় ফেলে রাখায় সড়কটির বেহালদশা। যা চলা চলের অনুপোযুগী হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন কষ্ট করে চলাচল করছে হাজার হাজার গণপরিবহন।
সরেজমিনে দেখাগেছে, চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জ নামকস্থানে ২ কিঃ মিঃ ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা বাজার থেকে হলিধানী বাজার পর্যন্ত প্রায় ৪কি.মি এবং বৈডাঙ্গা বাজারের পশ্চিম দিকে আদর্শ পাড়া থেকে উত্তর নারায়নপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৫মিটার পুরাতন সড়ক ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ গত এক বছর পূর্বে শুরু করলেও অদ্যবধী নির্মাণ কাজ শেষ করেনি সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার। সড়কের উপর সৃষ্টি হয়েছে ছোট ছোট গর্ত ও খানা খন্দের, একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে। সড়কটি দেখলে মনে হয় এর কোন কর্তৃপক্ষ নেই।

বর্তমান রাস্তাটির অবস্থা আরোও করুণ। বালি শুকিয়ে তৈরী হয়েছে প্রচন্ড ধুলা, দ্রুতগতির জানবাহনের পাশ দিয়ে হেটে কিম্বা সাইকেলে গেলে ধুলাই লোক চেনা যায় না। রাস্তার আশপাশে বসবাসকারীরা, নিয়মিত চলাচলকারী ছাত্রছাত্রী এবং পথচারীরা ধুলা বালিতে অতিষ্ট হয়ে উঠছে। প্রায় প্রতিদিনিই ঘটছে কোন না কোন দুর্ঘটনা। গত সপ্তাহে ট্রাককে সাইড দিতে গেয়ে যাত্রী বাহী বাস উল্টিয়ে ৩০ বাস যাত্রী আহত হয়েছে। যে কোন সময় আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা জানান।
ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ সুত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা বাজার থেকে হলিধানী বাজার পর্যন্ত প্রায় ৪কি.মি এবং বৈডাঙ্গা বাজারের পশ্চিম দিকে আদর্শ পাড়া থেকে উত্তর নারায়নপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৫মিটার নির্মাণাধীন রাস্তার করার কথা। ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের নতুন রাস্তা নির্মাণের কাজ প্রায় তিন বছর আগে শুরু হয়েছে এবং ঝিনাইদহ অংশের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম থেকে, কিন্তু এই কাজের কোন অগ্রগতি নেই।
স্থানীয়দের অভিযোগ কাজের মান নিয়ে। এখানকার রাস্তার উপর সৃষ্ট বড় বড় গর্ত পুরাতন সেই রাস্তা ভাঙ্গা দিয়েই ভরাট করে যাতায়াত করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে যে কাজ শেষ করা হয়েছে তাও মান সম্মত হয়নি তার প্রমাণ হয়তো খুব তাড়াতাড়িই পাওয়া যাবে। পথচারি ও এলাকাবাসীর দাবি এই নির্মাণাধীন অবস্থায় ফেলে রাখা মহাসড়কটির নির্মাণ কাজ দ্রুত সমাপ্ত হলে মানুষের জনদূর্ভোগ লাঘব হবে।
১ নং সাধুহাটি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন অভিযোগ করে কলেন ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বার বার জানানোরপরও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি এবং রাস্তাটি পরিদর্শন করতে আসেননি। ঠিকাদারদের জানালেও তারাও কোন কর্নপাত করেন না।
এদিকে একটি গোপন সুত্র জানিয়েছে কাজের মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টার জন্য ঠিকাদারা অবহেলা করে কাজ ফেলে রেখেছেন। এসব ঠিকাদারদের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ করে দিতে নির্বাহী প্রৌকশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ঠিকাদারদের কারণে জনসাধারনের ভোগান্তি হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
তবে স্থানীয় ভুক্ত ভূগীদের অভিযোগ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিবাহী প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম ও ঠিকাদারদের যোগসাজে কাজটি বন্ধ রয়েছে। দুইয়ের মধ্যে অর্থনৈতিকের সমন্বয় সাধন হচ্ছে না বলে কাজটি বন্ধ আছে বলে তারা জানাান।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিবাহী প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যত দুরুত সম্ভব কাজটি শেষ করা যায়। তবে অভিযোগ গুলো তিনি এড়িয়ে যান।
পথচারি ও এলাকাবাসীর দাবি এই নির্মাণাধীন অবস্থায় ফেলে রাখা মহাসড়কটির নির্মাণ কাজ দ্রুত সমাপ্ত করে মানুষের জনদূর্ভোগ লাঘব করা।
২৩ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে