শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৭, ০৭:৪৯:৫৩

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আতঙ্কের ৩৯ মিনিট

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আতঙ্কের ৩৯ মিনিট

কাজী ইমদাদ কাজী ইমদাদ : মৃত্যু ভয় কেমন? একের জনের কাছে হয়ত একেক রকম। কেউ বলে মৃত্যুকে ভয় পায় না আবার কেউবা বলে মৃত্যু অবধারিত। ভয় থাকলেও তাদের বক্তব্য ভয় পেয়ে কী হবে!

গভীর অন্ধকার রাতে একা একা পথ চলতে চলতে গাছের পাতা পড়লে বা কোন বিড়াল কুকুর দৌড় দিলে মানুষের বুক ভয়ে কেঁপে ওঠে। তবে অলৌকিক ভয়ের বাইরে কিছু ভয় বাস্তবের। কিছু ভয়কে জয় করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হয়। একটা হিন্দি বিজ্ঞাপনের ভাষায়, ‘ডরকে আগে জিত হে।’ তো আমরা এই জয়ের আশায় তখন ছুটছি। যে দুঃসাহস তখনও কেউ করেনি আমরা করবো এমনটা ভেবেই সকালে ঘুম থেকে উঠি।

ক্যামেরাম্যান আবুল কাশেমকে বলা মাত্র সেও রাজি। সে একটি বারও বলেনি যদি গুলি করে, যদি আর ফিরে না আসি। তবে কি হবে আমার পরিবারের? তবে প্রেক্ষাপটটাই এমন ছিলো, যে জীবনের চেয়ে নতুন নতুন খবর সংগ্রহই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছিলো। ব্যাচেলর হওয়ায় আমার জীবনের পিছুটান কম। তবে কাশেমের রয়েছে পরিবার। রয়েছে ছোট সন্তান। মিয়ানমারের নাসাকা বাহিনীর চোখে একবার পড়লেই হলো, কেচ্ছা খতম করে দেবে। তখন রাখাইনের বাস্তবতাও এমনই। নিজ দেশের বাসিন্দা রোহিঙ্গাদের যাকে পাচ্ছে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে এই নাসাকা বাহিনী, সেখানে আমরা বাংলাদেশ থেকে খবর সংগ্রহে এসেছে এমন তথ্য নিশ্চই তাদের জন্য সুখকর হবে না।

কিছুক্ষণ চুপ করে ভেবে রওয়ানা হলাম। এর আগের একটা ঘটনা বলা দরকার। রাখাইনে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও রাখাইন আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত। কোথা দিয়ে যাব, কোন সীমান্ত দিয়ে ঢুকলে বিপদ কম, এর কোন ধারণা নেই। আমরা যেদিন রওয়ানা হই তার আগের দিন সীমান্তে পরিচয় হয় জহির নামের এক বাঙ্গালির সঙ্গে। সে জানায় তার গ্রামে অবস্থান নিয়েছে কয়েকশ রোহিঙ্গা পরিবার।

এদের মধ্যে একটি পরিবার আছে যাদের সঙ্গে পরিচয় আছে আলেকিনের (রোহিঙ্গারা আরসার সদস্যদের আলেকিন বলে ডাকে)। ২৫ আগস্ট রাখাইনের সেনা চৌকিতে এই আলেকিনরাই হামলা চালায়। যে হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হওয়ার অভিযোগেই মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়ানো শুরু করে সেনাবাহিনী। তবে এ হামলার ঘটনা নিয়ে খোদ রোহিঙ্গাদের মধ্যেই রয়েছে এক ধরনের ধোঁয়াশা।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা অনেক রোহিঙ্গাই তখন বলছে, সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের গুলি করলেও আলেকিনদের কিছু করছে না। অনেক আলেকিন সদস্য রাখাইনে থাকতে পারলেও পালাতে হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। আবার বাংলাদেশে যে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছে তাদের ফেলে আসা গরু-ছাগল ও অন্যান্য সম্পদ রাখাইনে গিয়ে এই আলেকিনদের কাছ থেকেই কিনছে বাংলাদেশের দালালরা। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে যারা গরু চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত তাদের কাছ থেকেই পাওয়া গেল এ তথ্য। রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ আবার অভিযোগ করলেন, এই আলেকিনদের জন্যই তাদের ভিটা মাটি ছাড়তে হচ্ছে। সেনাবাহিনীর এজেন্ট হিসেবে আলেকিনরা কাজ করছে এমন ধারণাও করছেন কিছু রোহিঙ্গা।

আলেকিনের সদস্য ১শ’ থেকে সর্বোচ্চ ২শ’ হবে। তাদের অস্ত্রও বেশি কিছু নেই। রোহিঙ্গাদের নিয়ে কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট পেশ করার পরপরই সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আলেকিন বা আরসার হামলার ঘটনা নিয়ে তাই প্রশ্ন রয়েছে রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা সচেতন তাদের। এসব কারণে আলেকিনের সাক্ষাৎ পাওয়াটা আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে তখন।

জহিরের সঙ্গে তার গ্রামে গিয়ে কথা হয় দু’জন রোহিঙ্গার সঙ্গে। যাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে আলেকিনের। তারা জানে কোন কোন সময়ে সেনাবাহিনী গ্রামগুলোতে আসে এবং কখন ফিরে যায়। সাধারণত সকাল ৯টার দিকে একসাথে নাসাকা বাহিনী গ্রামগুলোর দিকে যায়। পেছনে পেট্রোলভর্তি কয়েকটি ড্রাম নিয়ে থাকে মগ (স্থানীয় বৌদ্ধ)।

সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুলি করে আর মগেরা পেট্রোল দিয়ে বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়, আবার কিছু মগের হাতের বড় বড় দা থাকে। যা দিয়েই এলোপাতাড়ি কোপানো হয় রোহিঙ্গা নারী-পুরষদের। কাউকে আবার জবাই করে দিচ্ছে মগ। তবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কখনো দু-একজন করে আসেনা। নিদিষ্ট একটি সময়ে এসে তারা নির্দিষ্ট সময়ে আবার ফিরে যায়। তবে যেসব এলাকা আগে থেকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেসব জায়গায় সেনাবাহিনী কম যায়।

আবার এলেও সেখানে যে রোহিঙ্গারা রয়েছে তারা খবর পায়। এসব এলাকার আশপাশেই আলেকিনরা লুকিয়ে আছে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা আলেকিন সদস্যের পরিচিতি বশির নামের ওই রোহিঙ্গা যোগাযোগ করে জানালেন পরদিন সকালে আমরা যাচ্ছি রাখাইনে।

একটি নৌকা আগেই ঠিক করে রাখা ছিলো। নৌকায় প্রায় দেড় ঘণ্টা যাত্রার পর আমরা পৌঁছাই সীমান্তে। নাফের বাংলাদেশ অংশে তখন আমাদের নৌকা। বাংলাদেশ আর মিয়ানমারের মধ্যে তখন ফারাক ৩শ’ থেকে ৪শ’ মিটারের নাফ নদী। আমরা অপেক্ষায় থাকি ওপারের সিগন্যালের।

কিছুক্ষণ পর বশিরের ইশারায় নৌকা চলতে শুরু করলো। নৌকা তখন নাফ নদীর বাংলাদেশ অংশ থেকে মিয়ানমার অংশে ঢুকে পড়েছে। হঠাৎ মনের মধ্যে অজানা এক আতঙ্ক কাজ করতে শুরু করলো। আমরা তাকাতে থাকলাম দূরের দিকে কোথাও নাসাকা বাহিনী চোখে পড়ে কি না। না, কোথাও নেই। নৌকা পৌঁছালো মিয়ানমারের কাটাতারের সীমানার কাছে। আমরা পা রাখলাম সে সময়ে বিশ্ব গণমাধ্যমের প্রধান আলোচনায় থাকা দেশ মিয়ানমারে। আমিও প্রথমবারের মত কোন বিদেশের মাটিতে পা রাখলাম। তবে তাও পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়া অনুপ্রবেশ করে!

অনেক ইচ্ছা ছিলো প্লেনে করে বিদেশ ঘুরে বেড়াবো। তবে চোরাপথে বিদেশ ভ্রমণের এ ইচ্ছার কথা স্বপ্নেও ভাবিনি! আমরা কাটাতারের ভেতরের কয়েকটি বাড়ির ছবি দূর থেকে নিয়ে নেই। কাটাতারের বেড়ার ভেতরের একটি পানির ড্রেনে এক রোহিঙ্গার লাশ পড়ে ছিলো তখন। সেটারও ছবি নেন কাশেম। তাৎক্ষণিক আবার খবর এলো সেনাবাহিনী এদিকেই আসছে।

বশির বললো, ভাই ফিরতে হবে। দেখা মিললো একজন রোহিঙ্গার যে বাংলাদেশে আসার জন্য বস্তা নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো। একটু দূরেই তার বাড়ির পোড়া অংশ সে আঙ্গুল দিয়ে দেখালো। তবে কাটাতার পার হয়ে পোড়া বাড়ির ভেতরের দৃশ্য ধারণ করা আর সম্ভব হলো না। তড়িঘড়ি করে নৌকা নিয়ে ফিরে আসলাম বাংলাদেশে। মনের অতৃপ্তি থেকেই গেলো।

তখনও ঘুরে দেখা হয়নি রাখাইনে রোহিঙ্গাদের পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি। কথা বললাম বশিরের সঙ্গে। তার সোজা উত্তর, আজ আর যাওয়া যাবে না। তবে রাতে চাইলে সম্ভব। তবে সেটা হবে বেশি ঝুঁকির। রাতের বেলায় অনেক দূর থেকে কারও অবস্থান সনাক্ত করা সম্ভব। আমরা ছিলাম নাছোড়বান্দা। সিদ্ধান্ত নিলাম রাতেই যাব।

সারাদিন অপেক্ষার থাকার পর রাতে আবার ঢুকে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ততৎক্ষণে আলেকিনের কয়েকজন সদস্য গভীর জঙ্গল থেকে সীমান্তের কাছে এসে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। তারা একটু দূরে দূরে তাদের লোকজন ঠিক করে রেখেছে, যাতে সেনাবাহিনী বা মগের সদস্যরা কেউ আসলে আগেই জানিয়ে দিতে পারে। রাস্তা ক্লিয়ার সংকেতে আমরা আবারও ঢুকে পড়ি মিয়ানমার। এবার কাটাতার পেরিয়ে ভেতরের দিকে যাচ্ছি আমরা। এদিন সন্ধ্যা থেকেই প্রচুর বৃষ্টি। আলেকিন সদস্যদের হাতে ছিলো কালো রঙের কাঠের হাতলের ছাতা। তাদের সঙ্গে আমরা ঢুকে পড়ি মংডুর পুড়িয়ে দেওয়া একটি গ্রামে। কাটাতারের বেড়ার পর থেকে আমরা যতটা পথ এগিয়েছি তার প্রতিটি পদক্ষেপেই মনে হয়েছে মৃত্যুর আরও কাছে যাচ্ছি আমরা, হৃদকম্পন হঠাৎ বেড়ে গেছে। তাড়াতাড়ি করেন, ক্যামেরাম্যানের এমন কথাও পরিস্থিতি আতঙ্কের করে তুলেছে। বেশিক্ষণ সময় না নিয়ে গ্রামে ঢুকেই আমরা বেশ কয়েকটি বাড়ির ভেতরের ছবি নিতে থাকি।

কী বেদনাবিধূর সে দৃশ্য! এমনভাবে পোড়ানো হয়েছে যে কেউ বুঝবেই না, এখানে কারও ঘর ছিলো, এখানে কোন পরিবারের হাসি-আনন্দের সংসার ছিলো, এখানের কোন রোহিঙ্গা বধূ রান্না করে পরিবারের অন্য সদস্যদের খাবার দিতো, এখানে দিনের ক্লান্তি শেষে রাতের বেলায় ঘুমিয়ে পড়তো তারা। পুড়ে যাওয়া ঘরগুলোতে পড়ে ছিলো হাড়ি-পাতিলের কিছু অংশ, ছোট শিশুদের পুড়ে যাওয়া খেলার পুতুল অথবা কোন গৃহবধূর সাজসজ্জার আয়নার ভাঙ্গা অংশ। চিত্র ধারণ করে নিলাম আমরা।

তবে হাতে টর্চ লাইট থাকলেও জ্বালানোর সাহস ছিলো না। বাড়ির ভেতরে ঢুকে মোবাইলের আলো দিয়েই আমরা চিত্র ধারণ করছি। হঠাৎ দূরের একটি সেনাক্যাম্পে আলো জ্বলে উঠলো। আলেকিন সদস্যরা অভয় দিয়ে বললো রাতে কেউ ক্যাম্প থেকে বের হবে না। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের কাছে সেনাক্যম্পের এ বাতি তেমন ভয়ের না হলেও আমাদের কাছে যথেষ্ট ভয়েরই ছিলো। দেরি না করে এক আলেকিন সদস্যের সাক্ষাৎকার নিয়ে নিলাম। সে জানালো তাদের দাবি দাওয়ার কথা। তারা চায় রোহিঙ্গাদের তাদের নায্য অধিকার দেওয়া হোক, মানুষ হিসেবে গণ্য করা হোক রোহিঙ্গাদের এমনটাই চাওয়া তাদের। সাক্ষাৎকার নিয়েই আমরা ফিরে আসছি কাটাতারের বেড়ার দিকে।

কাটাতারের বেড়ার কাছে তখন কয়েক শ’ রোহিঙ্গা অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশে ঢোকার। আমি দাঁড়িয়ে গেলাম একটা পিটিসি (ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে রিপোর্টার যে কথা বলে, পূর্ণরূপ পিস-টু-ক্যামেরা) দিতে। হঠাৎ দূর থেকে গুলির শব্দ শুনলাম। বশির বললো সেনাবাহিনীর বন্দুকের গুলি এগুলো। দ্রুতই নৌকার দিকে ছুটতে গিয়ে আমার পায়ের গোড়ালিতে ঢুকে গেছে সরু বাঁশের অংশ। কিছুটা রক্তাক্ত অবস্থাতেই নৌকায় উঠে পড়ি।

ক্যামেরাম্যান কাশেমের পায়েরও বেশ কয়েকটি স্থানে তখন রক্ত ঝরছে। আমরা উঠে পড়ি নৌকায়। তবে আমাদের নৌকায় চেপে বসে আরও কিছু রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকা এটা না, বারবার এমনটা বোঝানোর চেষ্টা করলেও কেউই নামছে না নৌকা থেকে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যা হয়। এরাও সবাই জীবন নিয়ে পালিয়ে আসছে। তাই ধমক দিতেও পারছিনা। ছোট নৌকা প্রায় ডুবে যাওয়ার উপক্রম হলে একজন রোহিঙ্গা নেমে পড়েন। তবে নদীর পানি শান্ত থাকায় বাকি রোহিঙ্গাদের নিয়েই নৌকা নাফ নদী পার হতে শুরু করে। এপাড়ে এসে মনে হলো নতুন জীবন পেলাম।

কাঁটাতারের বেড়ার ভেতরে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে ফিরে আসা পর্যন্ত সময় লেগেছে ৩৯ মিনিট। যার প্রতিটি সেকেন্ডেই ছিলো আতঙ্ক। নৌকা চলছে বসিরের গ্রামের দিকে প্রায় দেড় ঘণ্টার পথ। পথেই বশির বললো রোহিঙ্গাদের শতবছরের নির্যাতিত জীবনের গল্প। কোন রোহিঙ্গা শিশুরই পড়ালেখার সুযোগ নেই রাখাইনে। আর যদি কেউ পড়ার সুযোগ পায় তারও বাবা মার নাম রোহিঙ্গা নয়, রাখতে হবে বৌদ্ধের নাম। নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে তারা যেতে পারে না, সুযোগ নেই সরকারি চাকুরীর। এমনকি লোমর্হষক আরেকটি তথ্যও দিলো সে।

রোহিঙ্গাদের প্রায় প্রতিটি পরিবারেই ৮ থেকে ১০ সন্তান রয়েছে। এর পেছনেও রয়েছে অজানা এক গল্প। সুন্দরী রোহিঙ্গা বউ পেলে নাকি তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর হাত থেকে বাঁচতেই নাকি সবসময় গর্ভবতী থাকেন রোহিঙ্গা নারীরা।

তার বর্ণনায় ফুটে উঠলো আধুনিক এ যুগে এখনও কতটা অন্ধকারে রয়েছে রাখাইনের রোহিঙ্গারা। প্রতিটি পদক্ষেপেই তাদের ওপর নির্যাতন চলছে যুগের পর যুগ। সবকিছু জেনেও বিশ্বরাজনীতির কবলে কতটা অযত্নে অবহেলায় বেড়ে উঠছে রোহিঙ্গা শিশুরা, ভাবছি আর ফিরে আসছি নাফের জল দিয়ে টেকনাফের দিকে। তখনও বাকি অনেকটা পথ।-চ্যানেল আই
এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে