বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:১০:৫২

রেকর্ড পরিমাণ সাজার পরেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না রোহিঙ্গাদের অপরাধের মাত্রা!

রেকর্ড পরিমাণ সাজার পরেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না রোহিঙ্গাদের অপরাধের মাত্রা!

নিউজ ডেস্ক : কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এবং উখিয়ায় রোহিঙ্গাভিত্তিক অপরাধ কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। বরং পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অপরাধের ভিন্নতা। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের তিন মাসে মাদক পাচার, আশ্রয় শিবিরে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি, রোহিঙ্গাদের আনার কাজে সহায়তাসহ বিভিন্ন অপরাধে প্রায় এক হাজার দু’শ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। যা বাংলাদেশের কোনো একটি স্থানে সংগঠিত অপরাধে রেকর্ড সাজা।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের প্রথম থেকেই অন্তত আট ধরণের অপরাধ ঘটছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায়। এর মধ্যে মাদক পাচার, আশ্রয় শিবিরগুলোতে গণউপদ্রব সৃষ্টি, নির্দেশনা অমান্য করে সন্ধ্যার পর আশ্রয় শিবিরে অবস্থান, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, নারী পাচার সর্বোপরি মাদক ব্যবসা। পাশাপাশি রয়েছে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আনার কাজে সহযোগিতা এবং সীমান্ত অতিক্রম করে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায়। এসব অপরাধের দায়ে টেকনাফেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে অন্তত ৭শ জনকে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, 'তারা টাকার বিনিময়ে মিয়ানমার নাগরিকদের নিয়ে আসছে এবং অবৈধভাবে সিম বিক্রি করছে। অর্থের বিনিময়ে তারা তাদের বসতি স্থাপন করিয়ে দিচ্ছে'

শুধু টেকনাফ নয়, রোহিঙ্গা ভিত্তিক অপরাধ থেকে বাদ যাচ্ছেনা উখিয়ার পাশাপাশি কক্সবাজার সদরও। এখানেও অন্তত ৫'শ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরাজুল হক টুটুল বলেন, 'যারা রোহিঙ্গা এসেছেন তাদের ঠকানোর একটা প্রবণতা রয়েছে। তাদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে তাদেরকে আটক করার চেষ্টা করছি।

মাত্র দু’টি উপজেলায় গত তিন মাসে রেকর্ড পরিমাণ সাজা দেয়া সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না রোহিঙ্গা ভিত্তিক অপরাধের মাত্রা। দণ্ডিত আসামীদের মধ্যে ৮০ শতাংশ’ই রোহিঙ্গা।

৩৪ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইকবাল আহমেদ বলেন, 'দালালরা আমাদের গ্যাপগুলো খুঁজে বের করে ওখান থেকে রোহিঙ্গাদের আনার চেষ্টা করছে।'

গত ২৫শে আগস্ট সংঘাত সৃষ্টির অজুহাতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে মিয়ানমার সরকার। আর এর জের ধরে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বাংলাদেশে।
এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে