বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০১৭, ০৮:১৬:৫১

‘সাবেক শিক্ষামন্ত্রী সাদেকের আপন ভাই নন শাবানার স্বামী ওয়াহিদ’

‘সাবেক শিক্ষামন্ত্রী সাদেকের আপন ভাই নন শাবানার স্বামী ওয়াহিদ’

নিউজ ডেস্ক : সাবেক শিক্ষামন্ত্রী প্রয়াত এ এইচ এস কে সাদেক এবং চিত্রনায়িকা শাবানার স্বামী ওয়াহিদ সাদিক এক পরিবারের সদস্য নয় বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট করতে শাবানার স্বামীর প্রচারাভিযান নিয়ে মঙ্গলবার এমটিনিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি তথ্যের প্রতিবাদ জানিয়ে একথা জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, ‘আমির হোসেনকেই এগিয়ে রাখছেন কেশবপুরবাসী’ শিরোনামে এমটিনিউজের সংবাদে বলা হয়েছিল ‘বর্তমান সাংসদ ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইশমত আরা সাদেক ও তার দেবর ওয়াহিদ সাদিক মনোনয়ন দৌড়ে আলোচনায়’।

প্রয়াত শিক্ষামন্ত্রী সাদেকের স্ত্রী ইসমাত আরা কেশবপুর আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী। ওই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৬ সালের শেখ হাসিনা সরকারে শিক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন এ এস এইচ কে সাদেক।

ইসমাত আরা বলেন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এ এইচ এস কে সাদেক জনাব ওয়াহিদ সাদিকের আপন বড় ভাই নন। জনাব ওয়াহিদ সাদিক ও তার পূর্বপুরুষরা অনেক আগে থেকে খুলনায় বসবাস করেন। ওয়াহিদ সাদিকের দাদার নাম শামসুর রহমান, যার নামে খুলনা শহরে একটি রাস্তা আছে।

তবে দুজনের মধ্যে পারিবারিক একটি সম্পর্ক রয়েছে, যা ইসমাত আরার বক্তব্যে স্পষ্ট। জনাব ওয়াহিদ সাদিক মরহুম এ এইচ এস কে সাদেকের ২/৩ জেনারেশন পূর্বের শরিক বলে শোনা যায়।

প্রবাসে থাকা শাবানা সম্প্রতি দেশে আসার পর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। তখন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তাকে নির্বাচন করার আহ্বান জানান বলে শাবানা জানান।

তিনি মঙ্গলবার কেশবপুরে এক অনুষ্ঠানে বলেন, সন্তানদের সময় দিতে হয় বলে আমি রাজনীতিতে আসতে পারছি না। তবে আমার স্বামী রাজনীতিতে আসতে চান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকেও রাজনীতিতে আসার কথা বলেন। এসময় তিনি (ওয়াহিদ সাদিক) তার জন্মভূমি যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ফলে ওই আসনে নৌকা প্রতীকের ইসমাত আরার জন্য এখন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হলেন ওয়াহিদ সাদিক। এছাড়াও একই আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন। তবে কেশবপুরে নির্বাচনী প্রচারণা ও গণ-সংযোগে এগিয়ে আমির হোসেন।
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে