রবিবার, ২০ মে, ২০১৮, ১০:৪৪:৪৫

ফেসবুকের কল্যাণে ৮০ লাখ টাকার রাস্তা পেলো গ্রামবাসী!

ফেসবুকের কল্যাণে ৮০ লাখ টাকার রাস্তা পেলো গ্রামবাসী!

নিউজ ডেস্ক: প্রতি বর্ষায় গ্রামের মানুষ কাঁদা পানিতে কষ্ট করতেন। এলাকার জনপ্রতিনিধি এমনকি এমপিদের কাছে ধর্না দিয়েও যখন রাস্তাটি পাকা হয়নি, তখন ফেসবুকে “আম বংকিরার মানুষ” নামে আইডি দিয়ে রাস্তাটি পাকা করণের দাবী জানানো হয়। সেটি ২০১৬ সাল। তখন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোঃ শফিকুল ইসলাম। তিনি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের জরুরী নির্দেশনা পেয়ে রাস্তাটি ফেসবুকের সাথে বর্ণনা সঠিক কিনা তা তদন্ত করতে বংকিরা গ্রামে পাঠান সে সময়কার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়নকে।

ইউএনও জুলকার নায়ন সরেজমিন গিয়ে রাস্তাটির অবস্থা দেখে ব্যাথিত হন। সে সময় বৃষ্টি কাঁদায় একাকার গ্রামীন এই রাস্তার চিত্র বড়ই করুন। জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম ও ইউএনও জুলকার নায়ন সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের রাস্তাটি করতে প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহন করেন। এলাকার সাবেক ইউপি মেম্বার শুকদেব কুমার কর্মকার জানান, ১৯৪০ সালে বংকিরা গ্রামের কৃতি সন্তান নিখিলেশ্বর চন্দ্র বসু মেজিষ্ট্রেট ছিলেন। তার বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটি পাকা করণের দাবী জানিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন গ্রামের কৃতি সন্তান ঝিনাইদহ জেলার সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ ইকবাল কাজল। সেই লেখায় রাস্তাটি পাকা করণের উদ্যোগ নেন সরকার। ম্যাজিষ্ট্রেট নিখিলেশ্বর বসুর বাড়ি যাওয়া রাস্তাটি হওয়ায় গ্রামবাসী খুশি বলেও শুকদেব কর্মকতা জানান।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের সাবেক জেলা প্রশাসক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে এমন লেখা দেখে আমি রাস্তাটি করার দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করি। এরপর ঝিনাইদহ এলজিইডিকে দিয়ে রাস্তার এ্যস্টিমেট করে ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীর ষ্মরণাপন্ন হই। তিনি রাস্তাটি করতে অর্ধেক টাকা প্রদানের আশ্বাস দেন।

এরপর বৃহত্তর যশোর প্রকল্পে রাস্তাটির বাকী অংশ করা হয়। টেন্ডারের পর অবশেষে ২০১৮ সালের ১৮ মে রাস্তাটির নির্মান কাজ শেষ করেন ঠিকাদার রিপন। জানা গছে, বৃহত্তর যশোর প্রকল্পে রাস্তাটি অর্ন্তভুক্ত করতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড আব্দুল আলীম ও প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান একাধিকবার এলকায় যান। তারা রাস্তাটি করতে যথেষ্ট আন্তরিকতার পরিচয় দেন।

আমি বংকিরার মানুষ এর আইডির এডমিন সাংবাদিক আসিফ ইকবাল কাজল জানান, ফেসবুকে যদি সমাজ, রাষ্ট্র ও মানুষের সমস্যার কথা ভালোভাবে তুলে ধরা হয়, তবে সমাধান হতে বাধ্য। তিনি বলেন, লেখা হতে হবে হৃদয়গ্রাহী ও বাস্তবধর্মী, যাতে সংশ্লিষ্টদের অনুভুতি নাড়িয়ে দেয়।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে