রবিবার, ১৩ মে, ২০১৮, ১০:৪১:১৬

বিজিবি মোতায়েন, মধ্যরাতে শেষ প্রচারণা

বিজিবি মোতায়েন, মধ্যরাতে শেষ প্রচারণা

নিউজ ডেস্ক : খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের দুই দিন আগে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে আধা সামরিক বাহিনী বিজিবি। রবিবার (১৩ মে) সকাল থেকে খুলনার সড়কগুলোতে বিজিবিকে টহল দিতে দেখা গেছে।

খুলনার জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান জানান, সকাল থেকে ১৬ প্লাটুন বিজিবি মাঠে নেমেছে। এছাড়া ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা ও নির্বাচনী আচরণবিধি নিশ্চিত করতে ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

‘আজ সকাল থেকে তারা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আগামীকাল সোমবার ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বিচারিক হাকিম) দায়িত্ব পালন করবেন।’

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোনালী সেন বলেন, ‘নির্বাচনে সাড়ে নয় হাজার পুলিশ, বিজিবি, এপি ব্যাটেলিয়ান ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে পুলিশের পাশাপাশি ১৬ প্লাটুন বিজিবি, সাড়ে চার হাজার আনসার-ভিডিপি সদস্য থাকবে।’

‘নয়শ অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্যও থাকবে। নির্বাচনের ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) কেন্দ্রে ২৪ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া পুলিশের ৭০টি টিম দায়িত্ব পালন করবে।’

‘প্রত্যেক ম্যাজিস্ট্রেটের টিমের সাথে একটি করে পুলিশের টিম থাকবে। আটটি মোটরসাইকেল টিম এবং ১১টি পিকেট টিম দায়িত্ব পালন করবেন।’

র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক নির্বাচনে র‌্যাবের ৩২টি দল দায়িত্ব পালন করবে। যার প্রতিটি টিমে আট জন সদস্য থাকবে। এছাড়া চারটি স্টাইকিং ফোর্স থাকবে। একেকটি দলে ১০ জন করে থাকবে।

খুলনায় এবার মেয়র পদে পাঁচ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। এরা হলেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির শফিকুর রহমান মুশফিক, হাতপাখা প্রথীকে ইসলামী আন্দোলনের মুজ্জাম্মিল হক এবং কাস্তে প্রতীকে সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু।

এছাড়া নগরীর ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

খুলনায় এবার মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।

নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্র রয়েছে ২৫৪টি। আর ৩৫টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোট কক্ষ রয়েছে এক হাজার ৫৬১টি। অস্থায়ী ভোট কক্ষ ৫৫টি।

ভোট নেয়া এবং গণনায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা রয়েছেন চার হাজার ৯৭২ জন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কমিশনের সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য ব্যালট পেপার, সিল, কালিসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম খুলনায় পৌঁছেছে।’

‘১৪ মে সকাল ১০টা থেকে প্রতিটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের এসব সরঞ্জাম বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আজ রবিবার বিকেল থেকে ২২ সদস্যের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল দায়িত্ব পালন করবে। তারা নির্বাচনের সকল বিষয় পর্যবেক্ষণ করবে।’

আজ রাত ১২টার পর থেকে খুলনায় কোনো প্রার্থী আর প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন না বলেও জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা। শনিবার রাত ১২টার মধ্যে বহিরাগতদের সিটি থেকে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এবার নির্বাচনে দুইটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোট নেয়া হবে বলেও জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা। ওই দুই কেন্দ্রে ভোটের আগের দিন সোমবার সকাল ১০টা হতে বেলা দুইটা পর্যন্ত প্রতীকী ভোট চলবে বলেও জানান তিনি।

তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে বলেও জানান ইউনুচ আলী।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে