বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৫, ০৬:৩৪:৩০

প্রেমের শাস্তি মেশিনের ছ্যাঁকা!

 প্রেমের শাস্তি মেশিনের ছ্যাঁকা!

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : প্রেম করার অপরাধে লন্ড্রি মেশিনের ছ্যাঁকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক কলেজ ছাত্রকে ডেকে নিয়ে লন্ড্রি মেশিনের ছ্যাকা দিয়েছে তারা। লোমহর্ষক নিযার্তনের শিকার রফিকুল ইসলাম (১৮) এখন হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। এ ঘটনায় আহতের পরিবার ও এলাকাবাসীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনায় নির্যাতনকারীদের শাস্তির দাবিতে মিছিল করেছে স্থানীয়রা। জানা গেছে, উপজেলার গেন্দুকুড়ি গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ের সাথে বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পার্শ্ববতী গোতামারী গ্রামের উকিল মাহমুদের ছেলে কলেজ ছাত্র রফিকুলের। বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ের ভাই চয়ন বিষয়টি নিয়ে মাঝেমধ্যেই রফিকুলকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিলেন। মঙ্গলবার রাতে চয়ন তার স্ত্রীকে দিয়ে মুঠোফোনে রফিকুলকে বাড়ি আসতে বলেন। রফিকুল তার প্রেমিকার অসুস্থার খবর পেয়ে ছুটে যান। রফিকুল আসা মাত্রই চয়ন ও তার মামা লিমন তাকে ঘরে নিয়ে সাইকেলের রড দিয়ে পেটাতে থাকে। বেধড়ক পিটুনীর একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন রফিকুল। এরপর লন্ড্রি মেশিনের ছ্যাঁকা দেয়া হয়। খবর পেয়ে গোতামারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জালিল ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ছাত্রকে উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করান। বুধবার বিকেলে দেখা যায়, প্রচণ্ড যন্ত্রণায় কাঁতরাচ্ছে রফিকুল। তার দুই পায়ে অসংখ্য নির্যাতনের দাগ। পিঠের পুরো অংশে দগ দগে ক্ষতের চিহ্ন। রফিকুল বলেন, সাইকেলের রডের আঘাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরলে দেখি আমার পুরো পিঠ শুধু জ্বলছে। জানতে পারি, জ্ঞান হারাবার পর ওদের বাড়ির লন্ড্রি মেশিন গরম করে আমার পিঠে ছ্যাঁকা দেয়া হয়েছে। গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল গণমাধ্যমকে জানান, প্রেম করার অপরাধে একজন ছাত্রকে এভাবে মারধর করতে পারে না। এ ঘটনায় এলাকাবাসীরাও ক্ষুব্ধ। রফিকুল সুস্থ হলে এ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মেয়ের পরিবার ওই ছাত্রীকেও হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তাদের দাবি, রফিকুল ওই রাতে মেয়েটিকে তুলে নিতে এসেছিল। আহত কলেজ ছাত্রের বাবা উকিল মাহমুদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। হাতীবান্ধা থানার এসআই আনিছুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতনের কথা শুনেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দেয়া হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১৮ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে