শনিবার, ০৩ জুন, ২০১৭, ০৮:১৯:৪৫

৬ দিন অনশনের পর বিয়ের পিঁড়িতে এক সন্তানের মা!

৬ দিন অনশনের পর বিয়ের পিঁড়িতে এক সন্তানের মা!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রেমিকের বাড়িতে ছয়দিন অনশনের পর অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন এক সন্তানের জননী মৌসুমী বেগম।

শুক্রবার রাতে স্থানীয় মেম্বার আ. সামাদসহ গ্রাম্য প্রধান সহযোগিতায় ওই নারীর বিয়ে দিয়ে অনশন ভাঙালেন স্থানীয় চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম দোলন। চাঞ্চল্যকর ওই বিয়ে দেখতে ভিড় করেন এলাকার শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের পিপলা নতুনপাড়ার এক সন্তানের জননী মৌসুমী গত রোববার থেকে একই গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে প্রেমিক সবুজের (৩০) বাড়িতে অনশন করছিলেন।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে স্থানীয় খুবজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম দোলন বিষয়টি আমলে নেন। শুক্রবার সন্ধ্যার পর চেয়ারম্যান স্থানীয় মেম্বার আ. সামাদসহ গ্রাম্য প্রধান সহযোগিতায় সবুজ ও মৌসুমির বিয়ে দেন।

জানতে চাইলে মৌসুমী বলেন, সবুজের সঙ্গে তার চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে।

রোববার ইফতারের কিছুক্ষণ পর তার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে সবুজ তার বাড়িতে গিয়ে তাকে সবকিছু গুছিয়ে নিতে বলেন। তিনি তার স্বামীর গচ্ছিত ৫০ হাজার টাকা, তার কাছে থাকা ১০ হাজার আর গলার ও কানের স্বর্ণের গহনা নিয়ে সবুজের সঙ্গে চলে আসেন।

তিনি আরও বলেন, প্রেমিকের কথা মতো স্বামীর ঘর ছেড়েছেন তিনি। কিন্তু সবুজের বাড়িতে উঠলে তার বাবা-মার চাপে আমাকে স্বামীর বাড়ি ফিরে যাতে বলেন। না যেতে চাইলে মারধর করা হয়।

একপর্যায়ে ঘরে তালা লাগিয়ে অন্যত্র চলে যান তারা। তাড়িয়ে দিলে আমার স্বামীও নেবে না, আমি কোথায় যাব। আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই, তাই এখানেই অনশন করি। এর মধ্যে চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে আমার দাবি পূরণ হলে অনশন ভেঙে ফেলি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম দোলন বলেন, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর ছেলে পক্ষকে চাপ দিয়ে স্থানীয়ভাবে বসে তাদের বিয়ে দেয়া হয়েছে।
এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে