মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৯:৪১:০৩

ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে স্বামী- স্ত্রীর মতো মেলামেশা, অতঃপর ঘটলো...

ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে  স্বামী- স্ত্রীর মতো মেলামেশা, অতঃপর ঘটলো...

নীলফামারী, প্রতিনিধি: সৈয়দপুরে কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীনের সাথে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরে শারীরিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে নির্যাতিত বাবা আবু ছালেক নিজে সৈয়দপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি তার স্ত্রী আসমা বেগমকেও আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীনের সাথে সম্পর্ক তৈরি হয় ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও দলুয়া চৌধুরীপাড়া গ্রামের আবু ছালেকের মেয়ের (১৭)। একপর্যায়ে ওই প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রীর বাড়ি যাতায়াত করতে থাকেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ছাত্রীকে প্রধান শিক্ষক বিয়ের আশ্বাস দেন এবং তার লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ বহন করেন।

সে অনুযায়ী ওই শিক্ষক তিন মাস থেকে তার যাবতীয় খরচ বহন করেন এবং কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি করিয়ে দেন। ছাত্রীর পিতা হতদরিদ্র রিক্সাচালক হওয়ায় ছাত্রীটি প্রধান শিক্ষকের কথায় বিশ্বাস করেন। একপর্যায়ে ছাত্রীটি তার বাড়িতেই প্রধান শিক্ষকের লালসার শিকার হন। এছাড়া ওই প্রধান শিক্ষকের বাসায় মাঝে মধ্যে ওই ছাত্রীকে ডেকে স্বামী স্ত্রীর মতো মেলামেশা করতেন।

কয়েক দিন আগে ওই ছাত্রী বিয়ের চাপ দিলে ওই শিক্ষক তালবাহানা শুরু করেন। এমনকি তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এদিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী আসমা বেগম, তার বোন ও তার দলের লোকজন দিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে এ ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য হুমকি প্রদান করেন। প্রকাশ করলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। তার স্ত্রী হুমকি দেয়ার পর ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে গেলে ১১ সেপ্টেম্বর এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা উত্তেজিত হয়ে বিদ্যালয় অবরোধ করে।

এ সময় তারা প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করে। ঘটনার সময় বিদ্যালয় উপস্থিত হন উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুল মোমিন, ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বজলুল রশীদ, উপজেলা ভুমি কমকর্তা, আহমেদ মাহবুব উল ইসলাম, সৈয়দপুর থানা অফিসার্স ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ সৈয়দপুর থানার পুলিশ সদস্যরা। উপস্থিত প্রশাসনের লোকজন অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত ) তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, মামলা দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ মঙ্গলবার ভিকটিমের জবাববন্দী গ্রহণে আদালতে এবং ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নীলফামারী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/প্রতিনিধি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে