রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ০৮:২৭:০৬

ভাই আমি ফাঁসি দিলাম, লাশটা নিয়া যাইস: পুলিশের নারী কনস্টেবল

ভাই আমি ফাঁসি দিলাম, লাশটা নিয়া যাইস: পুলিশের নারী কনস্টেবল

সিলেট থেকে:‘ভাই আমি ফাঁসি দিলাম, লাশটা বাড়িত নিয়া যাইস’ভাইয়ের কাছে এমন ম্যাসেজ পাঠিয়ে ব্লেড দিয়ে শরীর কেটে আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপির) এক নারী কনস্টেবল। তার নাম পপি রাণী দাস।

শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে নগরীর আম্বরখানা এলাকার মনিপুরী পাড়ার বাসা থেকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আম্বরখানা ফাঁড়ি পুলিশ। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় সেখানে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে কারারক্ষী রিপন চন্দ্র দাসের সঙ্গে ৯ মাস আগে পপির বিয়ে হয় । গত চার মাস ধরে তারা আম্বরখানা মণিপুরী পাড়ার আলো ১/১১ নম্বর বাসায় তৃতীয় তলায় বসবাস করছেন। পপি রাণী এসএমপির কনস্টেবল হিসাবে আদালত পাড়ায় দায়িত্ব পালন করতেন। হবিগঞ্জের মাধপুর উপজেলার দীঘলবাক গ্রামে এ দম্পতির বাড়ি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী জানান, ‘ওই কনস্টেবল তালাবদ্ধ বাসায় নিজেই নিজের শরীর রক্তাক্ত করেন। খবর পেয়ে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির এস আই দেবাশীষের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কাউন্সিলর ও পুলিশের উপস্থিতিতে বাসার দুটি দরজা ভেঙে বিছানার ওপর থেকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় পপিকে পাওয়া যায় । এরপর তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে ব্লেড উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ সময় বাসার মেঝে রক্তাক্ত ছিল ।’

সিলেট মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘পপি রাণী দাস ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ব্যাপারে থানায় কোনও অভিযোগ করা হয়নি।’

এসএমপির মুখপাত্র আব্দুল ওয়াহাবজানান, পপি রাণী দাসকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু কাউকে না জানিয়ে তিনি হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। তাকে আবার হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পপির মানসিক সমস্যা রয়েছে।- যুগান্তর
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে