সোমবার, ০৫ মার্চ, ২০১৮, ০৪:৪৮:৫৯

সিসিটিভি'র ফুটেজে শাবিপ্রবি মুক্তমঞ্চে শনিবার বিকালের ঘটনা

সিসিটিভি'র ফুটেজে শাবিপ্রবি মুক্তমঞ্চে শনিবার বিকালের ঘটনা

সিলেট থেকে : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) হ্যান্ড বল গ্রাউন্ডের মুক্তমঞ্চে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনা ধরা পড়েছে কাছেই লাগানো একটি সিসিটিভি ক্যামেরায়। হামলার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে দৌড়ঝাঁপ ও হামলাকারীকে পেটানোর দৃশ্যও দেখা যাচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে।

গত শনিবার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলা হয়। শাবির ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ট্রিপল ই) বিভাগের ফেস্টিভ্যাল চলাকালে মঞ্চেই তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে হামলার ঘটনাটা ধরা পড়েনি। তবে হামলার পরপরই মঞ্চে ও আশপাশের আচমকা দৌড়াদৌড়ি দেখা যাচ্ছে।

ড. জাফর ইকবালকে নিয়ে একদল ছাত্র গাড়ির দিকে ছুটে যাচ্ছেন। আরেকদিকে হামলাকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলার পর মঞ্চেই তার ওপর লোকজনকে চড়াও হতে দেখা যাচ্ছে। হামলার আকস্মিকতায় প্রথমে সামনে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীরা দূরে সরে যেতে চেষ্ট করেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই অন্যান্য জায়গা থেকেও শিক্ষার্থীদের ঘটনাস্থলে ছুটে আসতে দেখা যায়।

অধ্যাপক জাফর ইকবাল যেখানে বসে ছিলেন, তার ঠিক পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিল হামলাকারী ফয়জুল। দুই বাহিরাগত ও চার পুলিশ সদস্য ছাড়া শিক্ষার্থীরাও পেছনে দাঁড়ানো ছিলেন। মঞ্চে সোফায় জাফর ইকবালের পাশে যারা বসেছিলেন তারা সবাই শিক্ষক। হামলার পর প্রথমে ড. জাফর ইকবালকে নেওয়া হয় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে আসা হয়।

তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান কনসালটেন্ট সার্জন বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের মেজর জেনারেল মুন্সি মুজিবর রহমান জানিয়েছেন, জাফর ইকবালের মাথায় চারটি, পিঠে একটি, বাম হাতে একটি আঘাত লেগেছে। তবে তা গুরুতর (হেভি ইনজুরি) আঘাত নয়। চামড়ার ওপরে আঘাত লেগেছে। এরপরও তার সম্পূর্ণ সুস্থ হতে কয়েকদিন সময় লাগবে। তার মানসিক অবস্থাও ভালো।

এদিকে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চার পুলিশ সদস্যের মধ্যে দুই জনকে প্রত্যাহার করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে হামলার আগে যে দু’জন পুলিশ সদস্যকে মোবাইলে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে, তাদের প্রত্যাহার করা হয়। তবে এই দুই পুলিশ সদস্যের নাম জানা যায়নি।

হামলার সময় তারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন কিনা, তা তদন্ত করে দেখার কথা জানিয়েছে পুলিশ। ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুর রহমান ওরফে ফয়জুলের এক চাচা, মামা ও ভাইকে আটক করা হয়েছে। র‍্যাব ও পুলিশ তাদের আটক করেছে।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে