আন্তর্জাতি ডেস্ক: আলেপ্পোর বিদ্রোহী অধ্যূষিত অঞ্চল গুলোতে সরকারি বাহিনীর (শনিবারের) হামলায় অন্তত ৯১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। আলেপ্পোর বিপন্নতায় আতঙ্কিত জাতিসংঘ। মহাসচিব বান কি মুন-এর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সামরিকতার বিস্তৃতিতে তিনি আতঙ্কিত। এরই বিপরীতে রাশিয়ার সহায়তা নিয়ে আলেপ্পোতে ক্রমাগত সামরিক অভিযান বিস্তৃত করছে সরকারী বাহিনী। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আরেক ব্রিটিশ মাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের খবর থেকে জানা গেছে, এ ঘটনায় নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
সিরিয়ায় সংঘাত ও সহিংসতা বন্ধে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের এক সপ্তাহের অস্ত্রবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর আলেপ্পোতে অভিযান জোরদার করেছে সরকারি বাহিনী। সিরীয় বাহিনীর এ অভিযানে ব্যাপক বিমানহামলা চালিয়ে সহযোগিতা করে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট আসাদের প্রতি এই রুশ সমর্থনকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
শনিবার সিরীয় সেনাবাহিনী ও সরকার সমর্থক মিলিশিয়ারা আলেপ্পোর উত্তরে বেশ কিছু এলাকা পুনর্দখল করে। আর এর বিপরীতে ঝরে পড়ে অন্তত ৯১ টি তাজা প্রাণ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে তাদের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে।
সামরিক সংঘাতের এই তীব্রতায় আতঙ্কিত জাতিসংঘ। রোববার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিচ বলেন, আলেপ্পোয় বিমান হামলাসহ অন্যান্য সমরাস্ত্রের সমন্বয়ে হামলার খবরে সংস্থাটি শঙ্কিত। তিনি জানিয়েছেন, খুবই ঠাণ্ডা মাথায় ঘটানো সামরিকতার বিস্তৃতি মহাসচিবকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। শনিবারের দিনটিকে বেসামরিক মানুষকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার কালো দিন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর সিরিয়ার সরকার আলেপ্পো শহরে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিমান হামলা জোরদার করে। এতে ব্যাপক হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের অনুরোধে আজ সকালে নিউইয়র্কে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
২৫ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর