রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০২:৩০:০০

উরি হামলায় পাক যোগের আরো জোরালো প্রমাণ এলো ভারতের হাতে

উরি হামলায় পাক যোগের আরো জোরালো প্রমাণ এলো ভারতের হাতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মীরের উরিতে হামলা চালানো জঙ্গিরা যে পাকিস্তান থেকেই এসেছিল, সে বিষয়ে আগেই নিশ্চিত হয়েছিল ভারত। পাক সেনাবাহিনীর মদতেই যে ওই সেনারা ভারতে ঢুকেছিল, সেই দাবিও করেছে ভারত। হামলার পরেই নিহত চার জঙ্গির থেকে এই সংক্রান্ত একাধিক প্রমাণ পেয়েছিল নয়াদিল্লি। যদিও পাকিস্তান সেই সমস্ত দাবি খারিজ করে দিয়েছে। কিন্তু এবারে যে প্রমাণ ভারতের হাতে এসেছে, তাতে পাকিস্তানের পক্ষে উরি হামলার সঙ্গে তাদের যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করতে পারবেনা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তান যাই বলুক না কেন, গোটা বিশ্বের সামনে প্রমাণ করে দেওয়া যাবে যে, পাক সেনা বা সে দেশের সরকারি মদত নিয়েই উরিতে হামলা চালানো হয়েছিল।

একটি সর্বভারতীয ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, উরিতে হামলা চালানো চার জঙ্গির থেকে দু’টি ওয়্যারলেস সেট উদ্ধার করা হয়েছে। জাপানে তৈরি এই ওয়্যারলেস সেট দু’টির উপরে উর্দু এবং ইংরেজিতে ‘ব্র্যান্ড নিউ’ লেখা রয়েছে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা অথবা এনআইএ-র সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, ওই ওয়্যারলেস দু’টি জাপানি সংস্থা আইকম-এর তৈরি।

এনআইএ-র তদন্তকারীদের দাবি, যে কোনও দেশেই এই ধরনের ওয়্যারলেস সেট একমাত্র কোনও নিরাপত্তা এজেন্সিকেই বিক্রি করা হয়। ইতিমধ্যেই ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই ওয়্যারলেস সেট দু’টি কাদের বিক্রি করা হয়েছিল, তা জানার প্রক্রিয়া শুরু করেছে এনআইএ। প্রাথমকি তথ্য অনুযায়ী, ওই ওয়্যারলেস সেট দু’টি পাকিস্তানেই বিক্রি করা হয়েছিল। এ বিষয়ে নিশ্চিত হলেই পাকিস্তানকে সেই প্রমাণ তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক কর্তা।

নিহত চার জঙ্গির থেকে মোট ৪৮টি জিনিস উদ্ধার করেছিল সেনাবাহিনী। এই ওয়্যারলেস সেট দু’টি ছাড়াও দু’টি ম্যাপ-সহ সমস্ত জিনিস এনআইএ-র তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে উরি জঙ্গি হামলার দায় নেওয়া দূরে থাক, কাশ্মীর ইস্যুর দিকেই যাবতীয় নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা জারি রেখেছে পাকিস্তান। ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফ ’-কে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে পাক হাইকমিশনার আব্দুল বসিত দাবি করেছেন, জঙ্গি নেতা বুরহান ওয়ানির হত্যার পরেই কাশ্মীরের পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে ভারত-পাক সম্পর্কের উপরে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান যে কোনওভাবেই উরি হামলার দায় নেবে না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, কাশ্মীরের মানুষই ঠিক করুক, তাঁরা ভারতের অধীনে থাকতে রাজি কি না। তাঁরা যদি এখানেই সুখে থাকেন, তাহলে তাই হবে।

কিন্তু পাকিস্তান যাই বলুক না কেন, এদিন ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে ফের একবার উরি হামলায় দোষীদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ‘কাশ্মীরবাসীর নিরাপত্তা আমাদের দায়িত্ব। কাশ্মীরে দেশবিরোধীদের চিহ্নিত করা হয়েছে।’ উরি হামলায় নিহত জওয়ানদেরও নিজের বক্তব্যে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জওয়ানদের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি। দেশবাসী আক্রোশে ফুঁসছে। দোষীরা অবশ্যই সাজা পাবে।’ কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখা হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।-এবেলা
২৫ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে