আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তিস্তার জল কি বাংলাদেশ পাবে? তিস্তার জল নিয়ে এই প্রশ্ন ও বিতর্কের জল বহু বছর ধরেই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যে বিভেদ তৈরি করেছে ৷ এপ্রিল মাসে ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ এই সফরেই কী তিস্তা চুক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে আলাপ আলোচনায় কোনও সবুজ সংকেত মিলবে?
বৃহস্পতিবার কলকাতার এক সংবাদ মাধ্যমে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী মমতায় তিস্তা চুক্তি নিয়ে স্পষ্টই জানিয়েদেন, ‘বাংলাদেশের জন্য যা করার করব, তবে পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ বাঁচিয়ে৷’
বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা জল বন্টনের চুক্তি করার উদ্যোগ ভারতের দ্বিতীয় ইউপিএ (কংগ্রেস) সরকারের সময়ও নেওয়া হয়েছিল৷ পশ্চিমবঙ্গের উত্তর প্রান্তের চাষবাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিস্তার জলের ওপর নির্ভরশীল৷ তাই জল বন্টন করা হলে, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের চাষবাসে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
সেই কারণেই ২০১১ সালে শেষ মুহূর্তে ঢাকা সফর বাতিল করেছিলেন মমতা ব্যানার্জী৷ সেই সময় মমতা স্পষ্টই জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই তিস্তা চুক্তির দিকে এগিয়েছে মনমোহন সিংয়ের সরকার৷ এই একই অভিযোগ মোদি সরকারের বিরুদ্ধেও৷
বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি নিয়ে বলতে গিয়ে সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানান, ‘যেখানে রাজ্যের স্বার্থ সেখানে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। কিন্তু শুনছি ২৫ মে বাংলাদেশে গিয়ে তিস্তা চুক্তি হবে। অথচ, আমি এখনও কিছু জানি না।’
২৪ মার্চ ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস