শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ০৯:১২:২৫

তাজিক প্রেসিডেন্টের নামের আগে যা যা বলা বাধ্যতামূলক!

তাজিক প্রেসিডেন্টের নামের আগে যা যা বলা বাধ্যতামূলক!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানে নতুন একটি আদেশ জারি হয়েছে যাতে দেশটির প্রেসিডেন্টের নামের আগে তার বিশেষ কিছু পরিচয় তুলে ধরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। খবর বিবিসির।

অর্থাৎ সংবাদ মাধ্যমে এখন আর শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট এমোমালি রাখমান বললেই চলবে না। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, তার এই পরিচয়ই যথেষ্ট নয়। তাহলে আর কি কি বলতে হবে তার নামের আগে?

বলতে হবে "দ্যা ফাউন্ডার অফ পিস এন্ড ন্যাশনাল ইউনিটি, লিডার অফ দ্য ন্যাশন, প্রেসিডেন্ট অফ দ্য রিপাবলিক অফ তাজিকিস্তান, হিজ এক্সিলেন্সি এমোমালি রাখমান।"

অর্থাৎ প্রেসিডেন্টের বিষয়ে কোনো খবর পরিবেশন করতে গেলে তার নামের সময় বলতে হবে, "শান্তি এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতিষ্ঠাতা, জাতির নেতা, তাজিকিস্তান প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট, মহামান্য এমোমালি রাখমান।"

বলা হচ্ছে, টেলিভিশনে খবরের সময় টিভির পর্দায় প্রেসিডেন্টের পুরো নাম এভাবে তুলে ধরতে ১৫ সেকেন্ডের মতো সময় লাগছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, খবর প্রচার বা রিপোর্ট করার সময় সাংবাদিকদেরকে এই আদেশ মেনে চলতে হবে।

এই আদেশ সরকারি মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা এবং ওয়েবসাইটের বেলাতেও প্রযোজ্য। এই আদেশ জারি হওয়ার পর সোশাল মিডিয়াতে হাসিঠাট্টা চলছে। সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা প্রেসিডেন্টের নাম উল্লেখ করার সময় তার আনুষ্ঠানিক নামের আগে আরো কিছু যোগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

এসবের মধ্যে রয়েছে: দ্য ম্যান ইন দ্য মুন অর্থাৎ চাঁদে থাকা মানুষটি, দ্য ক্রিয়েটার অব দ্য ইউনিভার্স অর্থাৎ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টা, এবং দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট রুলার অফ তাজিকস অর্থাৎ তাজিকদের মহান শাসক ইত্যাদি।

কেউ কেউ লিখেছেন, তাজিকিস্তানের নেতার নামের আগে কি কি বলতে হবে তারচেয়েও আরো অনেক জরুরী সমস্যা আছে দেশটিতে যা সমাধান করা দরকার। তারা বলছেন, এসব সমস্যার মধ্যে রয়েছে বেকারত্ব, স্থিতিশীলতা এবং তারপর আপনি আপনাকে যা ইচ্ছা ডাকতে পারেন এমনকি নিজেকে 'সর্বশক্তিমান'ও বলতে পারেন।

মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে শাসকদের নামের আগে এধরনের স্তুতির ব্যবহার অস্বাভাবিক কিছু নয়। কাজাখ সংবাদ মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নূর সুলতান নাজারবায়েফকে বলা হয় জাতির নেতা, তুর্কমেনিস্তানে বলা হয় রক্ষক।

তাজিকিস্তানে প্রেসিডেন্ট রাখমান ১৯৯২ সাল থেকে শাসনকাজ পরিচালনা করছেন। তার এই শাসনকালে দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সরকারের তীব্র সমালোচনা আছে। দেশটিতে প্রেসিডেন্ট অপমান করে কোন মন্তব্য করা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।

সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে এরকম একটি গ্রুপ রিপোর্টার্স ওইদাউট বর্ডার্স সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর ভিত্তি করে একটি তালিকা তৈরি করেছে যাতে দেখা যাচ্ছে ১৮০টি দেশের মধ্যে তাজিকিস্তানের অবস্থান ১৪৯ নম্বরে।
২৯ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে