বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০১৭, ০৯:২৮:৫৭

মহড়া পাল্টা প্রস্তুতি, সবুজ সংকেত পাওয়া মাত্রই ভারত-চীন যুদ্ধ!

মহড়া পাল্টা প্রস্তুতি, সবুজ সংকেত পাওয়া মাত্রই ভারত-চীন যুদ্ধ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত-চীন সীমান্তে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছেই। চীনের ডোকালাম নিয়ে কড়া অবস্থানে দেশটির আগ্রাসী মনোভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ নিয়ে চিন্তিত বিশ্ববাসীও। একদিকে চলছে চীনা সেনার মহড়া অন্যদিকে ভারতীয় সেনার পাল্টা প্রস্তুতি। এ যেন শুধু সবুজ সংকেত পাওয়ার অপেক্ষা! আর এই অবস্থা নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করল আমেরিকা। যুদ্ধের দিকে নয়, সীমান্তের এই এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আবেদন আমেরিকার। আর এজন্যে সমাধান সূত্র বের করতে ভারত এবং চীনকে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে তারা।

এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার ন্যুয়ের্ট বলেছেন, ভারত ও চীন আলোচনার মাধ্যমে শান্তির লক্ষ্যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেই তাদের বিশ্বাস। শুধু আমেরিকাই নয়, সীমান্তে যাতে শান্তি বজায় থাকে এজন্যে আবেদন জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়াও। ডোকালাম নিয়ে দুই দেশ যাতে শান্তির মাধ্যমে যাতে সমস্যার সমাধান করে সেই আবেদন জানিয়েছেন অষ্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া কখনই চায় না দুই দেশের মধ্যে কোন যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হোক।

জানা যায়, দুই দেশের এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যেকেই নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলছে। চুক্তি ও প্রকল্প অনুমোদন হচ্ছে নিত্য নতুন মরণাস্ত্র তৈরির। ভারতও নতুন সামরিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে। যার আওতায় ২৬০০ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধযান তৈরি করবে দেশটি। 'ফিউচারিস্টিক ইনফ্যান্টরি কমব্যাট ভেহিকল' অর্থাৎ ভবিষ্যতে যুদ্ধের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধযান নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ভাবনা-চিন্তা করছে ভারত। এবার সেই প্রজেক্ট নিয়ে দ্রুত এগোতে চাইছে কেন্দ্র। চলতি মাসের শেষেই ৭৫০ কোটি ডলারের এই প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনায় বসবে ডিফেন্স আ্যাকুইজিশন কাউন্সিল।

এই প্রজেক্টে যে সব সংস্থার নাম উঠে এসেছে সেগুলি হল- মাহিন্দা গ্রুপ, টাটা মোটরস, রিলায়েন্স ডিফেন্স ইত্যাদি। তবে কোন সিদ্ধান্ত এখন নেওয়া হয়নি। অন্তত ২৬০০ যুদ্ধযান তৈরি হবে। এই প্রজেক্টে লারসেন অ্যান্ড টারবো, মহিন্দ্রাও থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। থাকবে রাশিয়ান, আমেরিকান ও জার্মান সংস্থাও। এই প্রজেক্টের মেয়াদ ৩২ বছর। এতে ৪০ শতাংশ যান ভারতেই তৈরি হবে।
এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে