শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০১৭, ০৪:২৯:৪৭

মোটা মেয়ের চিকিত্‍সা করাতে গিয়ে চমকে উঠলো গোটা পরিবার

মোটা মেয়ের চিকিত্‍সা করাতে গিয়ে চমকে উঠলো গোটা পরিবার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুম্বাইয়ের পশ্চিম শহরতলীর ১৩ বছরের মেয়েটির ওজন বেড়ে যাচ্ছিল দেখে চিন্তিত ছিল পরিবারের সদস্যরা। থাইরয়েড হরমোনের গণ্ডগোলেই মেয়েটি মোটা হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন তার বাবা-মা।

রোগা হওয়ার চিকিত্‍সার জন্য স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতেই চক্ষু চড়কগাছ পরিবারের। চিকিত্‍সকেরা মেয়েটির আল্ট্রা সোনোগ্রাফি করতে বলেন। সেই ইউএসজি রিপোর্টে দেখা যায়, নাবালিকা ২৭ সপ্তাহের গর্ভবতী।

কিন্তু কী করে সে গর্ভবতী হল, তা নিয়ে পুলিশকে কিছু খোলসা করে বলতে চায়নি মেয়েটি। তার পরিবারও বুঝতে পারছে না, কী ভাবে এটি সম্ভব হল। তবে তাদের সন্দেহ, এটি কোনও পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা।

তবে প্রায় সাড়ে ছ'মাস ধরে মেয়েটি গর্ভে সন্তান ধারণ করেও কী করে বুঝতে পারলো না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। মেয়েটির পরিবার এখন গায়নোকলজিস্ট নিখিল দাতারের দারস্থ হয়েছে।

নিখিল দাতারই অনেক নাবালিকার গর্ভপাতের ঘটনা সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গিয়েছেন। এই নাবালিকার ক্ষেত্রেও আইনসম্মত উপায়ে গর্ভপাতের সময় পেরিয়ে গিয়েছে।

''মেয়েটি ষষ্ঠ বা সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। সে যে একটি সন্তান ধারণ করেছে তা সে জানতই না। তার মা চাইছেন মেয়ের গর্ভপাত করাতে। কিন্তু আইনত তা সম্ভব নয়। তাই আগামী সোমবার আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব,'' বলেন দাতার।

মেয়েটির পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেও নির্দিষ্ট কারও কথা মেয়েটি এখনও পুলিশকে বলেনি। নাবালিকা একটু সুস্থ হলে পুলিশ তার বয়ান রেকর্ড করবে।

কিছুদিন আগেই অবশ্য চণ্ডীগড়ের এক ১০ বছরের মেয়ের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে অবশ্য ডাক্তারদের পরামর্শ ছিল, যেহেতু ২০ সপ্তাহের উপর গর্ভবতী ছিল সেই নাবালিকা, তাই গর্ভপাত করলে জীবনহানির শঙ্কা রয়েছে।
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে