আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার মতো ক্ষুদ্র একটি দেশ হয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ও অন্যতম বৃহৎ রাষ্ট্র আমেরিকার সঙ্গে লড়াই করা চাট্টিখানি কথা নয়। তবু কোন কিছুরই পরোয়া করছেনা উত্তর কোরিয়া। আমেরিকার শাসানিকে উপেক্ষা করে একটার পর একটা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েই যাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুক্ষনের মধ্যে উত্তর কোরিয়াকে গুড়িয়ে দেওয়া সম্ভব এমন হুঁশিয়ারীর পরও দেশটির একনায়ক কিম যেন ভাবলেশ হীন। এসব হম্বি-তম্বির কোন তোয়াক্কাই করেন না তিনি। কিন্তু কিমের এমন সাহসের কারণ কী?
জানা গেছে, উত্তর কোরিয়া মাটির উপরিভাগে যেমন ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমানবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তেমনি মাটির নিচেও তৈরী করেছে এক বিশাল এলাকা। মূলত মাটির নিচে রয়েছে দেশটির ভূগর্ভস্থ রেল লাইন। আপাতত দেশটির সাধারণ মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে এসব ভূগর্ভস্থ রেল ব্যবহার করে। কিন্তু কখনো যদি প্রয়োজন হয় তবে দেশটির সকল মানুষই এই ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় অবস্থান নিতে পারবে। ধারণা করা হচ্ছে, শুধু যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নীতকরণই নয়; মাটির নিচের এসব স্থাপনা তৈরী করার সময় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথাও ভাবছিলেন দেশটির কর্তারা। আর এজন্যই ওই উত্তর কোরিয়ার ভূগর্ভস্থ স্থাপনাগুলো সুবিশাল জায়গা নিয়ে বিস্তৃত।
ডেইলি মেইলের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের নিচে যে রেল ব্যবস্থা, তা ভূমির উপরিভাগ থেকে প্রায় ৩৬০ ফুট গভীরে। আর এর ফলে মাটির উপরিভাগে যতো বড় পারমানবিক হামলাই হোক না কেন তা সেখানে অবস্থান নেওয়া মানুষের কোন ক্ষতিই করতে পারবেনা।
মজার ব্যপার হলো- এই সুরক্ষা ব্যবস্থা কিম জং উনের তৈরী নয়। এগুলো তিনি উত্তরাধিকার সূত্রেই পেয়েছেন। ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৩ সালের মধ্যে ওই স্থাপনাটি কিমের দাদা কিম ইল সান তৈরী করেন। কারণ, তখন থেকেই কোরিয়া এই পৃথিবীর বুকে এক রোখা, একা ও ক্ষেপাটে হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে।-ডেইলি মেইল
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস