আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘মার্কিন সেনাবাহিনী সমরাস্ত্রে প্রস্তুত, উত্তর কোরিয়ার উচিৎ জ্ঞানীর মতো আচরণ করা’- এই টটুইটের কিছুক্ষন পরই ট্রাম্প আরেকটি টুইট করেন। বাংলাদেশ সময় শনিবার ওই টুইটে তিনি কয়েকটি বি-ওয়ান বোমারু বিমানের ছবি প্রকাশ করেন এবং বলেন, ‘এই বি-ওয়ান বি বোমারু বিমানগুলো এখন গুয়ামে মোতায়েন করা হয়েছে। এগুলো কেবল নির্দেশের অপেক্ষায়।’
গত কয়েকমাস ধরে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে গোলযোগের সূত্র ধরে মার্কিন বি-ওয়ান বোমারু বিমানগুলোই কোরিয়ান উপত্যকায় নিয়মিত টহল দিয়েছে। যদিও এ থেকে কোন বোমাবর্ষণের ঘটনা এখনো ঘটেনি। তবে, বিবাদমান দেশ দুটির হুমকি পাল্টা হুমকিতে পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলাটে হয়ে আসছে।
মার্কিন মিত্র জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক কয়েকটি যুদ্ধ মহড়ায় এই বিমানগুলোই নিয়মিত অংশ নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন বাহিনী যদি উত্তর কোরিয়ায় সেনা অভিযান পরিচালনা করতে চায় তবে প্রথমেই ঝটিকা আঘাত হানবে বি-ওয়ান বোমারু বিমান।
গত মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো পারমানবিক বোমা তৈরী করে ফেলেছে এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া এমন আগুনে পুড়বে যা পৃথিবী কখনো দেখেনি।’
কিন্তু ট্রাম্পের এমন হুমকির কোন তোয়াক্কা না করে পরদিন বুধবার উত্তর কোরিয়া একটি বিবৃতিতে জানায়, তারা মার্কিন সীমানায় গুয়াম অঞ্চলের কাছাকাছি প্রশান্ত মহাসাগরে একটি হামলা মহড়ার পরিকল্পনা করেছে। কোরিয়ান উপত্যকা দাঁপিয়ে বেড়ানো বি-ওয়ান বিমানগুলো বর্তমানে গুয়ামেই অবস্থান করছে।
চারটি টার্বোফ্যান যুক্ত ১৪৬ ফুট দীর্ঘ বি-ওয়ান বোমারু বিমান গুলো ঘন্টায় ৯০০ কিলোমিটারেরও বেশি গতি ছুটে। ওই বিমানগুলোর প্রতিটির ওজন প্রায় ৯৫ টন। প্রায় ৩০ হাজার ফুট উপর দিয়েও এগুলো ছুটতে পারে এবং প্রায় সাড়ে ৩৭ টনের মতো বিস্ফোরক রসদ এটি বহন করতে পারে।
সংখ্যা প্রকাশ না করলেও অসংখ্য বি-ওয়ান বোমারু বিমান এখন গুয়ামে অবস্থান করে প্রেসিডেন্টের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছে। বিবাদের সূত্র ধরে নির্দেশ পেলেই তারা অসংখ্য বোমা নিয়ে ছুটে যাবে পিয়ংইয়ং অভিমুখে।-সিএনএন
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস