বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ০৮:৩১:৫৩

তুরস্ক বেড়াতে গিয়ে এক সপ্তাহে ৬ কোটি টাকা ওড়ালেন সৌদি প্রিন্স!

তুরস্ক বেড়াতে গিয়ে এক সপ্তাহে ৬ কোটি টাকা ওড়ালেন সৌদি প্রিন্স!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক সপ্তাহের ভ্রমণের খরচ ৫ লাখ ৫৮ হাজার পাউন্ড স্টার্লিং! বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় ৬ কোটি টাকা (৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা)! অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। তুরস্কে ছুটি কাটাতে গিয়ে এই বিপুল পরিমাণ অর্থব্যয় করেছেন সৌদির রাজপুত্র।

খবরে প্রকাশ, সম্প্রতি তুরস্কের বোডরুম রিসর্টে এক সপ্তাহের জন্য অবকাশে গিয়েছিলেন সৌদি আরবের প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল বিন আব্দুলাজিজ আল-সৌদ। এজিয়ান সাগর লাগোয়া একটি রিসর্টে ওঠেন তিনি।

রাজপুত্র বলে কথা। কোথাও গেলে একা যান না। সফরসঙ্গী হিসেবে সর্বদা থাকেন পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে লোক-লস্কর, নিরাপত্তারক্ষীরা। এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

জানা যায়, গত ১৪ তারিখ তার ব্যক্তিগত জেট যখন শহরের বিমানবন্দরে অবতরণ করে, তখন প্রায় ৩০০টি স্যুটকেশ ছিল মালপত্রের মধ্যে! সেগুলিকে ট্রাকে করে হোটেলে পাঠাতে হয়।

৬২ বছরের রাজপুত্রের আবার সাইকেল চালানোর শখ! তাই তার মর্জিমাফিক ৩০টি বাইসাইকেল বিমানে করে আনা হয়। সৈকত শহরে হামেশাই সাইকেলে চেপে বেরিয়ে পড়তেন তিনি। পিছনে থাকত তার বডিগার্ডরা।

খবর, এই সফরে শুধুমাত্র থাকার জন্যই ৩৬৭ হাজার পাউন্ড স্টার্লিং খরচ করেছেন তিনি। কারণ, এত লোকের থাকার জন্য তিনি একটি বিচসাইড হোটেল, একটি ভিলা ও একাধিক লজ বুক করেছিলেন।

শুধু হোটেলে নয়, শোনা গিয়েছে বেশ কয়েক দিন আবার মাঝসমুদ্রে বিলাসবহুল ইয়টে কাটান শৌখিন রাজপুত্র। ‘কিংডম ৫ কেআর’ নামে ২৮১ ফুটের ওই বিশালকায় ইয়টটি পূর্বে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছিল। ১৯৯১ সালে তিনি সৌদি পরিবারকে বেচে দেন।

এছাড়া, সমুদ্র লাগোয়া একটি উপদ্বীপের ওপর বিলাসবহুল নসর-এত-স্টিক হাউস রেস্তোরাঁয় ১৪ জন বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে নৈশভোজ সারেন। ভোজনে সন্তুষ্ট হয়ে সেখানে তিনি প্রায় সাড়ে চার হাজার পাউন্ড টিপস দিয়ে আসেন!

ওই রেস্তোরাঁর মালিক নুসরাত গোকচের নামডাক জগতজোড়া। সকলেই তাকে ‘সল্ট বায়ে’ নামে চেনেন। কারণ, গোশতের ওপর এমনভাবে তিনি নুন ছড়ান, যে তার পদের স্বাদ না কি অতুলনীয় হয়ে ওঠে।

আরেক দিন একটি মাছের রেস্তোরাঁয় গিয়ে সেখানেও প্রায় ৯ হাজার পাউন্ড খরচ করেন সৌদি প্রিন্স। রাজপুত্র ও তার পরিবার গোটা সফরে বিলাসবহুল গাড়ির একটি আস্ত বহর সঙ্গে রেখেছিলেন। পাশাপাশি ছিল, প্রচুর বাস।

এক নজরে দেখে নেয়া যাক প্রিন্স আল ওয়ালিদের মূল আয়ের উৎস ঠিক কী? তিনি কিংডম হোল্ডিং কোম্পানির চেয়ারম্যান। এই সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগ করে থাকে।

ফোর্বসের তালিকায় তিনি বিশ্বের ৪৫তম ধনী ব্যক্তি। তার সম্পত্তির মোট মূল্য ১৪.৬ ব্রিটিশ পাউন্ড। জানা গেছে, টুইটারসহ বিভিন্ন সংস্থায় তিনি বিনিয়োগ করে রেখেছেন।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে