তাহলে কী যুদ্ধ শুরু হল?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার একের পর এক পরমাণু বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পাল্টা জবাব হিসেবে কোরীয় উপদ্বীপে আকাশ তোলপাড় করল মার্কিন স্টিলথ ফাইটার জেট ও বোমারু বিমান। দেশটির ওপর পাল্টা চাপ তৈরি করা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার হঠাৎ করে কোরীয় উপসাগরের আকাশে দেখা গেল ৪টি মার্কিন স্টিলথ ফাইটার জেট ও ২টি বি-১ বি বোমারু বিমান। উত্তর কোরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমার ক্ষমতা পরখ করার জন্যই ওই মহড়া বলে মনে করা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়া এরই মধ্যে কয়েকটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। ওই ক্ষেপণাস্ত্র যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও আঘাত হানতে সক্ষম তা প্রকাশ্যে বলেছে কিমের দেশ। সম্প্রতি হাইড্রোজেন বোমাও পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। এমনকি জাপানকে ডুবিয়ে দেয়ার ক্ষমতাও তারা রাখে বলেও জানিয়েছে পিয়ংইয়ং।
জাতিসংঘের নির্দেশ তোয়াক্কা না করেই গত ৩ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়া তাদের ষষ্ঠ পরমাণু বোমা পরীক্ষা করে। পাশাপাশি গত শুক্রবার জাপান সাগরে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে কিমের কোরিয়া। বার বার কিমের গর্জনের পাল্টা হুশিয়ারি দিতেই সোমবার ক্ষমতা প্রদর্শন করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন বিমানের সঙ্গে ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার ৪টি এফ-১৫কে যুদ্ধবিমানও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে হুমকি দিয়েছে, পিয়ংইয়ং যদি তার অস্ত্র পরীক্ষা না থামায় তাহলে তাকে ধ্বংস করে দেয়া হবে। সোমবারের বিমান মহড়ার পর অনেকের কাছে প্রশ্ন জেগেছে, তাহলে কী যুদ্ধ শুরু হল?
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস
