শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৭, ১০:২২:২৬

‘তিন জন সৈন্য আমাকে ধরে ফেললো, আমার জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেললো’

‘তিন জন সৈন্য আমাকে ধরে ফেললো, আমার জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেললো’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৯৯১ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কুনান গ্রামে ছিল শীতের সময়। সেই ঠান্ডা রাতে গ্রামের অন্য লোকদের মতোই জুনি ও জারিনা ঘুমোতে যাবার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় তারা শুনলেন, দরজায় কে যেন জোরে জোরে কড়া নাড়ছে। তখন কাশ্মীরে ভারতের নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে চলমান এক সশস্ত্র বিদ্রোহ দমনের জন্য ভারতীয় সামরিক বাহিনীর বড় আকারের সেনা অভিযান চলছে।

জুনি আর জরিনা তাদের দরজা খুলে সৈন্যদের দেখতে পেলেন। প্রথম দিকে পুরুষদের বের করে নেয়া হলো। কিন্তু তার পর যা ঘটলো তা মনে করলে এখনো তাদের চোখে পানি আসে। জুনি বলছিলেন, ‘সৈন্যদের কেউ কেউ মদ খাচ্ছিল। আমার দু’বছরের মেয়ে আমার কোলে। এ অবস্থায়ই একজন সৈন্য আমাকে ধরার চেষ্টা করলো। আমি বাধা দিলাম। ধস্তাধস্তির মধ্যে মেয়েটা আমার হাত থেকে পড়ে গেল। তাকে জানালা দিয়ে বাইরে ছুঁড়ে মারা হলো । সে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছে। এর পর তিন জন সৈন্য আমাকে ধরে ফেললো, আমার জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেললো। এর পর কি হলো আমি জানি না। তারা সংখ্যায় ছিল পাঁচজন। তাদের সবার চেহারা আমার মনে আছে।’

সেদিন ওই একই বাড়িতে ছিলেন জারিনা। মাত্র ১১ দিন আগে তার বিয়ে হয়েছিল, তার পর সেদিনই তিনি বাবা-মার বাড়ি থেকে ফিরেছিলেন। জারিনা বলছিলেন, কয়েকজন সৈন্য তার শাশুড়িকে জিজ্ঞেস করলো – এই যে ঘরে নতুন কাপড় ঝুলছে, এগুলো কার। ‘শাশুড়ি বললেন, এই যে আমাদের নতুন পুত্রবধূ – তার। আর তারপই যে কি হলো তা আমি বর্ণনা করতে পারবো না। শুধু যে আমাদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে তাই নয়, আমরা আজও ন্যায়বিচার পাই নি। আজও সৈন্য দেখলে আমি ভয়ে কাঁপতে থাকি।’-বিবিসি
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে