আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী স্বীকার করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়াদিল্লিকে কূটনৈতিক বিড়ম্বনায় ফেলে দিলেন। ভারতের ঘোষিত নীতি হল, পূর্ব জেরুজালেম স্বাধীন প্যালেস্তাইনের রাজধানী। তবে ইজরায়েলর সঙ্গেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে ভারতের।
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত ইজরায়েলের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। এই কূটনীতি ভারত সফলভাবে প্রয়োগ করতে সমর্থ হয়েছে। ট্রাম্পের একটা ঘোষণাই সেই কূটনৈতিক অবস্থানকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। ভারত কী তবে আমেরিকার মতো জেরুজালেমে ইজরায়েলের কর্তৃত্ব মেনে নেবে?
এই নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, ‘প্যালেস্তাইন নিয়ে ভারতের অবস্থান স্বাধীন এবং দৃঢ়। আমাদের মত এবং আগ্রহের জায়গা থেকেই এই অবস্থান তৈরি হয়েছে। কোনও তৃতীয় দেশের অবস্থান দেখে তা তৈরি হয়নি।’
সরাসরি না বললেও ট্রাম্পের ঘোষণায় ভারতের বিড়ম্বনা যে বেড়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে। পূর্ব জেরুজালেম প্যালেস্তাইনের রাজধানী এই কথাটা আগের মতো জোর দিয়ে বলতে পারছে না দিল্লি। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করে সে দেশের দূতাবাস তেল আবিব থেকে সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
এরফলে নতুন করে পশ্চিম এশিয়ায় আগুন জ্বলে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আরব দেশগুলো এবং মুসলিম জগত এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। আর প্যালেস্তাইন বলেছে, শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থের ভূমিকা হারাল ওয়াশিংটন। এ বছরের প্রথমেই প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মেহমুদ আব্বাস দিল্লি আসেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাধীন প্যালেস্তাইনকে ভারত সমর্থন করবে বলে জানিয়েছিলেন। তবে যৌথ ঘোষণাপত্রে জেরুজালেমের উল্লেখ ছিল না। ১৯৯২ সাল থেকে ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে প্রচেষ্টা শুরু করে ভারত। নরেন্দ্র মোদি প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইজরায়েল সফর করেন।
এমটিনিউজ/এসএস