আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগেই সুপ্রিম কোর্ট ‘তিন তালাক’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল। এর পরে দরকার ছিল আইন। সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর দিনেই সেই বিল পাশ হল।
শীতকালিন অধিবেশনের প্রথম দিনেই পাশ হল ঐতিহাসিক বিল। আগেই সুপ্রিম কোর্ট ‘তিন তালাক’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল। এর পরে দরকার ছিল আইন। সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর দিনেই সেই বিল পাশ হল। এই বিল অনুসারে যে কোনও রকম তালাক দিলেই জেলের সাজা হতে পারে। বিলে বিবাহ বিচ্ছেদের পরে সন্তানের দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারে মুসলমান মহিলাদের অধিকারও দেবে।
গত মাসেই সব রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছিল যে, শীতকালিন অধিবেশনে তালাক নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একটি বিল আসতে চলেছে। নতুন এই ‘মুসলিম ওম্যান প্রোটেকশান অফ রাইটস অন ম্যারেজ বিল’-এ জম্মু-কাশ্মীর ছাড়া দেশের অন্যত্র যে কোনও রকম তালাককে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, নতুন এই বিল আইনে পরিণত হলে তাৎক্ষণিক তালাকে তিন বছর পর্যন্ত জেলের সঙ্গে জরিমানা দিতে হবে। মৌখিক, লিখিত বা অন্য ভাবে— সব তালাকই নিষিদ্ধ বলা হয়েছে বিলে।
শুধু তাই নয়, বিবাহবিচ্ছেদের পরে মুসলমান মহিলারা যাতে খোরপোষ পেতে পারেন বা সন্তানের দায়িত্ব নিতে পারেন সেই অধিকারের উল্লেখও রয়েছে এই বিলে।
গত অগস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে ভারতে তালাক নিষিদ্ধ করে। এটা বরবারই বিজেপির এজেন্ডা ছিল। তালাক নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রথম থেকেই উদ্যোগী হয়। গত উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্যের পিছনে মুসলমান সমাজের মহিলাদের সমর্থন বিজেপির ঝুলিতে আসে বলেও দাবি করে গেরুয়া বাহিনী। এবার আইন তৈরিতেও সমান উদ্যোগী কেন্দ্র।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিল প্রণয়নের জন্য অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটিই বিলের খসড়া তৈরি করেছে।-এবেলা
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস