সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১০:৪৮:৫১

পাকিস্তানের পাশে আমেরিকা

  পাকিস্তানের পাশে আমেরিকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্ব রাজনীতিতে অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ রাশিয়ার একটি পরিকাঠামো ক্ষেত্রের বিনিয়োগকে সমর্থন জানিয়েছে আমেরিকা। আর তা হলো ইরান থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন, যার মাধ্যমে পাকিস্তানের অর্থনীতির উন্নতির পাশাপাশি দেশটির জীবনযাত্রার মানও বাড়বে। ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) মিশনের ডিরেক্টর জেরি বিসন বলেন, ‘পাকিস্তানের জনগণ ও অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য রাশিয়া, চীন, বিশ্ব ব্যাংক অথবা এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক— যে কারো বিনিয়োগকে আমরা সমর্থন করি। কোথা থেকে অর্থ আসছে সে ব্যাপারে আমাদের বিশেষ কোনো দৃষ্টিভঙ্গি নেই। জনগণের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য পাকিস্তান সরকারকে আমরা সমর্থন করি।’

পাকিস্তানকে একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে উল্লেখ করে বিসন জোর দিয়ে বলেন, আমরা ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পকে সমর্থন করি। এই বিনিয়োগ পাকিস্তানের জনগণ ও অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ট্রাম্পের আমলে ইউএসএআইডি-এর বিনিয়োগ নীতিতে পরিবর্তন এসেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিসন মার্কিন বিদেশ সচিব রেক্স টিলারসনের পাকিস্তান সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই সফরে পাকিস্তানের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, আমেরিকা পাকিস্তানের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে চায় এবং দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করতে চায়। এ সময় পাকিস্তানের ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সহায়তা, বিশেষ করে স্কলারশিপ সুবিধার কথা উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘আমরা ১৮ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীকে সহায়তা দিয়েছি এবং এর একটা বিশাল প্রভাব পড়েছে। আমরা এই সহযোগিতা চালিয়ে যেতে চাই।’

বিভিন্ন মার্কিন কোম্পানির তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি প্রসঙ্গে বিসন বলেন, এটা বাজার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। আমেরিকান কোম্পানিগুলি ক্রেতা খুঁজছে। কারণ তাদের অতিরিক্ত এলএনজি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘তোমার যদি ভালো টার্মিনাল এবং বন্দর থেকে স্থানীয় বাজারে গ্যাস পরিবহণের পরিকাঠামো থাকে, তাহলে আমার মনে হয়, তারা রপ্তানির ব্যাপারে আগ্রহী হবে।’

পাকিস্তানের পোর্ট কাসিম এলাকায় এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের আগ্রহ দেখিয়েছিল মার্কিন তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এক্সনমোবিল। কিন্তু সম্প্রতি তারা প্রকল্প থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। অসামরিক পারমাণবিক প্রযুক্তি সহযোগিতার ব্যাপারে বিসন বলেন, এ রকম কোনো সুযোগ আছে বলে তার জানা নেই। তবে নবায়নযোগ্য বায়ু ও সৌরশক্তির ব্যাপারে ইউএসএআইডি’র আগ্রহ রয়েছে। কারণ এই প্রযুক্তি সহজ এবং ১৮ মাসের মধ্যেই এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা সম্ভব। তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘অনেক বড় বাঁধ প্রকল্প রয়েছে, যেগুলির উন্নয়নে ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লেগে যাবে। কিন্তু আমরা যদি বায়ু ও সৌরশক্তির দিকে তাকাই, তাহলে দেখা যাবে এটা খুবই দ্রুত কাজ করে একং সহজেই এই ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা যাবে।’

বিসন বলেন, বালুচিস্তান ও সিন্ধ প্রদেশ নবায়নযোগ্য এনার্জির ক্ষেত্রে খুবই সম্ভাবনাময়। ইউএসএআইডি সেখানে বেশ কিছু প্রকল্প শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে