বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৫:৫৮:২৯

মিয়ানমারে অসহায় দিন কাটছে মা-বাবা হারা রোহিঙ্গা শিশুদের

মিয়ানমারে অসহায় দিন কাটছে মা-বাবা হারা রোহিঙ্গা শিশুদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধন অভিযান থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।
 
কিন্তু পালানোর সময় কিছু মা-বাবা তাদের সন্তানদের সঙ্গে আনতে পারেননি।

ফলে রাখাইনে আটকা পড়ে আছে একশর বেশি রোহিঙ্গা শিশু। মা-বাবাকে হারিয়ে সেখানে অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে তাদের।

জাতিসংঘ বলছে, গত বছরের জুন মাসে সেনা অভিযানের কারণেই এই শতাধিক রোহিঙ্গা শিশু মা-বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এ ছাড়া ৬০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শিশু মিয়ানমারের অভ্যন্তরের বিভিন্ন ক্যাম্পে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। ২০১২ সালে পরিচালিত সেনা অভিযানে এসব শিশু বাস্তুহারা হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মুখপাত্র মেরিক্সি মেরকাডো।

মঙ্গলবার জেনেভায় মেরকাডো বলেন, বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ময়লা ও মলের ওপর শিশুরা বাস করছে। এসব অস্বাস্থ্যকর ক্যাম্পে তিন সপ্তাহের মধ্যে চার শিশু মারা যায়।

এক মাসেরও বেশি সময় মিয়ানমারের বিভিন্ন ক্যাম্প ঘুরে তিনি এ চিত্র দেখেন।

তবে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জো হতাই দাবি করেছেন, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি রোহিঙ্গাদের প্রস্থানের পর কোনো সন্তানকে তাদের পরিবার রেখে গেছে বলে আমরা তথ্য পাইনি। থম্পসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে এ তথ্য জানান মিয়ানমার মুখপাত্র।

গত কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৌদ্ধদের উত্তেজনা চলে আসছিল। নিপীড়িত রোহিঙ্গারা বছরের পর বছর সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করলেও তাদের দেশটির নাগরিকত্ব ও ভোটদানের অনুমতি দেয়া হয়নি।

২০১২ সালে রাখাইনে দুই দফা সংঘর্ষে একশর বেশি মানুষ প্রাণ হারান। এ ঘটনায় বাস্তুহারা হয় প্রায় দেড় লাখ মানুষ।

পরবর্তী সময়ে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর জন্য আরাকান স্যালভেশন আর্মিকে (আরসা) দায়ী করা হয়। এর পর গত বছরের জুনে সেনা অভিযান শুরু করে মিয়ানমার।

এ অভিযানে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া এবং অজস্র মুসলিম রোহিঙ্গাকে হত্যা ও নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। প্রাণ বাঁচাতে ৬ লাখ ৫৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম পাশের দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে