বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৯:১৫:৫৪

রুশ সেনাঘাঁটিতে রহস্যজনক ড্রোন হামলা

রুশ সেনাঘাঁটিতে রহস্যজনক ড্রোন হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিস্ফোরকে ঠাসা একের পর এক আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল আছড়ে পড়ছে সিরিয়ায় অবস্থিত রাশিয়ার সেনাঘাঁটিতে। অথচ কে ওই ড্রোনগুলি পাঠাচ্ছে, তার পরিচয় জানা নেই রাশিয়ান সেনাদের। এমনটাই দাবি করেছে রাশিয়ান সেনাবাহিনী। সিরিয়াতে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর সদর ঘাঁটিতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর এখন মাথার চুল ছিঁড়ছেন রাশিয়ান সেনা কর্মকর্তারা। কে বা কারা কী উদ্দেশ্য নিয়ে হামলা চালাচ্ছে, সেটা বুঝে ওঠার আগেই আরেকটি ড্রোন এসে আছড়ে পড়ছে তাঁদের ঘাঁটিতে।

সিরিয়ার লাটাকিয়া প্রদেশে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর মিলিটারি হেড কোয়ার্টার। সেখানেই আছে খেমাইমেম বিমান ঘাঁটি। আর সেখানেই আছড়ে পড়েছে অন্তত ১০টি বিস্ফোরকে বোঝাই ড্রোন। তিনটি ড্রোন হামলা করেছে তারতুসে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর নৌঘাঁটিতেও। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যখন দাবি করছেন, সিরিয়ায় বন্ধু বাশার আল-আসাদের সরকার গত ছয় বছরের গৃহযুদ্ধে জয়লাভ করেছে, তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই চূড়ান্ত রহস্যজনক ড্রোন হামলায় আক্রান্ত রাশিয়া।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছে, অন্তত সাতটি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়েছে। তিনটি ক্র্যাশ করে বিস্ফোরণ ঘটে। কোনো রাশিয়ান সেনা সদস্যের মৃত্যুর খবর জানায়নি মন্ত্রণালয়।

এই হামলাকে সম্ভাব্য জঙ্গি হামলার তকমা দিচ্ছে রাশিয়া। তবে জঙ্গিদের এই নতুন পন্থা বেশ ভাবাচ্ছে পুতিনকেও। ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব থেকে জিপিএস ব্যবহার করে রিমোট কন্ট্রোল ড্রোনের সাহায্যে জঙ্গিদের এই হামলাকে খাটো করে দেখছেন না পুতিন। প্রতিটি ড্রোনেই আইইডি ঠাসা ছিল। ইদলিব প্রদেশ থেকে ড্রোনগুলি ছোড়া হয়েছিল বলে অনুমান। এছাড়া রাশিয়ার অভিযোগ, এই ধরনের হামলা চালানোর জন্য যে ধরনের স্যাটেলাইট সহায়তা দরকার তা শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই আছে। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এই ঘটনার কয়েকদিন আগেই দুই রাশিয়ান সেনাসদস্য মর্টার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। রাশিয়ান সেনাদের ওপর এরকম ধারাবাহিক হামলা পুতিনের দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। পুতিন সদ্য দাবি করেন, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে ইতি টানা গিয়েছে। দেশটির বিদ্রোহীদের উপর রাশ টানতে সক্ষম হয়েছে সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকার। কিন্তু আদৌ সেই দাবি কতটা সত্যি, সেটা সময়ই বলে দেবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে