মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ১১:০৯:২৪

মালদ্বীপে ১১টি চীনা যুদ্ধজাহাজ, একটাও না ফেরার হুঁশিয়ারি ভারতের!

মালদ্বীপে ১১টি চীনা যুদ্ধজাহাজ, একটাও না ফেরার হুঁশিয়ারি ভারতের!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালদ্বীপে চলমান রাজনৈতিক সংকট ও উত্তেজনার মধ্যেই ফেব্রুয়ারি মাসে ১১টি চীনা যুদ্ধজাহাজ পূর্ব ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করেছে। সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পর ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই মালদ্বীপে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

এ অবস্থার মধ্যে ভারত মহাসাগরে চীনা যুদ্ধজাহাজের এই উপস্থিতিকে নয়া দিল্লির উদ্দেশে শক্তি প্রদর্শন হিসেবে মনে করা হচ্ছে। চীনের সংবাদমাধ্যম সিনা ডট কমের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ডেস্ট্রয়ারের একটি বহর যাতে অন্তত একটি ফ্রিগেট রয়েছে। চীনা নৌবহরের ভারত মহাসাগরে প্রবেশের সঙ্গে মালদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্কের কোনও কথা বা মোতায়েনের কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।

তবে, ভারতীয় নৌবাহিনী সূত্রে সেই খবর নস্যাত্‍ করে দিয়ে বলা হয়েছে যে ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ভারতের নৌসেনা ও উপকূল রক্ষী বাহিনী ভারতীয় মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবসময় করা নজরদারি চালাচ্ছে।

এই নজরদারিতে নিয়োজিত আছে ভারতীয় নৌসেনার তরফে দুটি অ্যাডভান্স লাইট হেলিকপ্টার ও উপকূল রক্ষী বাহিনীর কাছে আছে ডোর্নিয়ার এয়ারক্রাফট। মালদ্বীপের উপর সব সময় তারা নজর রাখছে। এখানে অন্যদেশের যুদ্ধজাহাজ ঢুকলে ফিরে যেতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছে তারা।

উল্লেখ্য, মালদ্বীপে প্রভাব বিস্তারে চীন ও ভারতের পুরানো দ্বন্দ্ব নতুন সামনে আসে দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামি বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে স্বাক্ষর করার পর। এতে করে চীনের বাণিজ্যিক এই রুটে যুক্ত হয় মালদ্বীপ।  

দেশটির সঙ্গে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তার সম্পর্ক রয়েছে। তারা চীনের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির বিরোধিতা করেছিল। মালদ্বীপের বিরোধী দলীয় নেতারা দেশটির সংকটে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। এ অবস্থায় দেশটির প্রধান বিচারপতি বিরোধী রাজনীতিকদের মুক্তির নির্দেশ দেন এবং সংকট সমাধানে ভারতের ভূমিকা প্রত্যাশা করেন। তখন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন জরুরি অবস্থা জারি করেন। পরে প্রধান বিচারপতিকে গ্রেফতার করা হয়।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে