বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৮, ১২:৩৯:১২

বাসায় ফিরে মায়ের এই দৃশ্য দেখতে হবে তা ভাবতে পারেননি ছেলে

বাসায় ফিরে মায়ের এই দৃশ্য দেখতে হবে তা ভাবতে পারেননি ছেলে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাসায় ফিরে মায়ের এই দৃশ্য দেখতে হবে তা ভাবতে পারেননি ছেলে। দরজা ভেজানো বাইরে থেকে। বোঝাই যাচ্ছে, ঘরে কেউ রয়েছে। অথচ বারবার ডেকেও মেলেনি মায়ের সাড়া।

অফিস থেকে ফিরে ঘরে ঢুকে সরকারি কর্মী দেখলেন তাঁর মায়ের নিথর দেহ। মুখে চাপ চাপ রক্ত। বাড়িতে খোয়া যায়নি কিছুই। লুঠপাটেরও কোনও চিহ্ন নেই। পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের একটি সরকারি আবাসনে প্রৌঢ়া খুনের পরতে পরতে রহস্য।

ছেলে চন্দনের সঙ্গেই থাকতেন বাসবী বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই প্রৌঢ়া। রোজকার মতোই বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ অফিস চলে যান ছেলে চন্দন। রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখেন,  সদর দরজা ভেজানো। বার বার ডেকে সাড়া না পেয়ে মাকে এ-ঘর ও-ঘর খুঁজতে থাকেন চন্দন।

পরে  রান্নাঘরের মেঝেতে মায়ের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। মুখের পাশে রক্তের দাগ। তড়িঘড়ি পড়শিদের খবর দেন তিনি। খবর যায় থানায়।

পুলিস জানিয়েছে,  বাসবীদেবীর গায়ের গয়না ছাড়া আর কিছুই বাড়ি থেকে খোয়া যায়নি। তদন্তে জানা গিয়েছে, এক পরিচারিকা থাকতেন ওই বাড়িতে। কিছুদিন আগে তাঁকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়।  তবে কি এই ঘটনার পিছনে পরিচারিকার হাত রয়েছে? 

চন্দন বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর আর কে ঢুকেছিল ওই বাড়িতে? কোনও পুরনো বিবাদ রয়েছে কিনা, সবই খতিয়ে দেখছে পুলিস। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

তবে আপাত নিরীহ পরিবারের এমন মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না প্রতিবেশীরাও। ফের একাকী বয়স্কদের নিরাপত্তা ফের প্রশ্নের মুখে। --জি নিউজ

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে