আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বরের মুখভর্তি দাড়ি। আত্মীয়স্বজনদের ফিসফাস, এরকম পাগলের মতো থাকা ছেলের সঙ্গে সুন্দরী মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন রাধেশ্যাম যাদব। ব্যস, এই ফিসফাস বন্ধ করতেই বেঁকে বসলেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের খান্ডওয়া জেলার অঞ্জতি গ্রামের বাসিন্দা রূপালি এবং তার পরিবারের লোকজন।
জানিয়ে দিলেন, বর মঙ্গল চৌহ্বান যতক্ষণ না গোঁফ–দাড়ি কাটছেন বিয়ে হবে না। গত ১২ মার্চ ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে এসে কনেপক্ষের অদ্ভূত এই দাবিতে হকচকিয়ে যান বরপক্ষ। শেষপর্যন্ত বেঁকে বসেন বরের বাড়ির লোকেরাও। জানিয়ে দেন, এভাবে মেয়ের বাড়ির লোক তাদের হেনস্থা করতে পারে না।
সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় বিয়ের আয়োজন। দুপক্ষই নিজেদের দাবিতে অনড় থাকে। মেয়ের বাবা রাধেশ্যামবাবু জানান, বিয়ের অনেক আগে থেকেই বরকে এই দাড়ি কাটার কথা বলে আসছিলেন। সবার সামনেই তিনি বলেন, ‘সব আয়োজন ঠিক আছে। কিন্তু বিয়ে করতে হলে বরকে কামিয়ে এসে বিয়ে করতে হবে।’
শেষপর্যন্ত অবশ্য ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। গণ্ডগোল যাতে আর না ছড়াতে পারে, সেজন্য মধ্যস্থতা করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। শেষপর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে চলা ঝামেলার ইতি ঘটে। মেয়ের বাড়ির দাবি মেনে দাড়ি কাটে বর মঙ্গল চৌহ্বান। এরপর সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয় বিয়ে। বুধবার বিকালে বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে যান বরও। পরে বর জানান, ‘আমার দাড়ি রাখা নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে কিছুটা ঝামেলা হয়েছিল। এখন তা মিটে গেছে।’
এদিকে, মেয়ের বাবার বক্তব্য, ‘প্রথম থেকেই ওই দাড়ি রাখার ব্যাপারে বরকে সাবধান করেছিলাম। বিয়ের দিন আমার বন্ধুরা নানান কথা বলছিল, তাই এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছি। এজন্য বিয়ে বাড়ি যারা সাজিয়েছেন তাদের অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকাও দিতে হয়েছে। আর তাই নিজের সিদ্ধান্তে আমি অনড় থেকেছি।’
এমটিনিউজ/এসএস