শুক্রবার, ১৬ মার্চ, ২০১৮, ০৩:৫৩:৪৫

‘ভাবিকে বলেছি, ভাইয়া আর বাবুকে আমি নিয়ে গেছি’

 ‘ভাবিকে বলেছি, ভাইয়া আর বাবুকে আমি নিয়ে গেছি’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত হয়ে চারদিন কাঠমান্ডু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আলমুন নাহার অ্যানি। আজ শুক্রবার দেবর মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণার সঙ্গে দেশে ফিরছেন তিনি। তবে এখনও তাকে জানানো হয়নি তার স্বামী ফারুক হোসেন প্রিয়ক ও মেয়ে প্রিয়ংময়ী তামাররা আর নেই। বিমান বিধ্বস্তের সঙ্গে সঙ্গেই মারা গেছেন তারা। প্রিয়কের চাচাতো ভাই সোহানুর রহমান বলেন, ‘অ্যানি ভাবি এখনও জানেন না প্রিয়ক ভাই মারা গেছেন। উনাকে বলা হয়েছে, আমি ভাইয়া আর বাবুকে নিয়ে গেছি।’

ফারুক হোসেন পর্যটক হিসেবে স্ত্রী ও শিশুকন্যাসহ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সোমবার (১২ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার মামাতো ভাই মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা। নেপাল ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান ফারুক হোসেন প্রিয়ক এবং তার তিন বছর বয়সী একমাত্র শিশুকন্যা প্রিয়ংময়ী তামাররা। মেহেদী তার স্ত্রী স্বর্ণা ও অ্যানিকে উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারের পর তাদের কাঠমান্ডু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অ্যানির দেবর সোহানুর রহমান

দেশের ফেরার পর তাদের তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হবে। গত সোমবার (১২ মার্চ) নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা’র একটি বিমান ৬৭ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। ১০ বাংলাদেশি আহত হন। আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে সাতজনকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়।তাদের মধ্যে একজনকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে (বিজি ০৭২) নেপাল থেকে শাহরিন আহমেদ গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় পৌঁছান। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে