আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার আফরিনে কুর্দি গেরিলাদের (ওয়াইপিজি) বিরুদ্ধে প্রায় দুই মাস অব্যহত অভিযানের পর চূড়ান্ত জয় পেয়েছে তুর্কিবাহিনী। রোববার তুর্কিবাহিনী ও সিরিয়ার বিদ্রোহী সংগঠন ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) যৌথভাবে আফরিনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। খবর আনাদলু এজেন্সির।
রোববার তুরস্কের সেনাবাহিনী ও দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান বলেন, রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টার সময় তুর্কি বাহিনী আফরিনের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
এদিকে তুর্কি বাহিনীর এক টুইটার বার্তায় বলা হয়েছে, ‘তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মি আফরিনের সিটি সেন্টার দখলে নিয়েছে।’
ওই এলাকায় কুর্দি গোষ্ঠী কোনো ল্যান্ডমাইন বা অন্য ধরনের বিস্ফোরক পুতে রেখে গেছে কি না- তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তুর্কি প্রশাসন।
সেনাবাহিনীর শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, আফরিনের সিটি সেন্টারে তুরস্কের পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এফএসএ’র শেয়ার করা কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, তারা রাস্তায় আনন্দ করছে, বিজয়ের সংকেত দেখাচ্ছে ও পতাকা উড়াচ্ছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মার্কিন সমর্থিত কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ওয়াইপিজিকে হটানোর লক্ষ্যে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আফরিনে সেনা অভিযান শুরু করে তুরস্ক ও এফএসএ।
সিরিয়াভিত্তিক কুর্দি গোষ্ঠী পিওয়াইডি ও এর সশস্ত্র সংগঠন ওয়াইপিজিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে দেখে তুরস্ক। সংগঠন দুটিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত দল পিকেকের শাখা মনে করে তারা। তুরস্কের বিরুদ্ধে গত কয়েক দশক ধরে যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে পিকেকে। তাদের হামলায় এ পর্যন্ত লক্ষাধিক তুর্কি প্রাণ হারিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে আফরিনসহ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল পিওয়াইডি ও ওয়াইপিজি। আইএসবিরোধী যুদ্ধে সংগঠন দুটিকে এসডিএফ নামে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র। এসডিএফকে মার্কিন সহায়তার কারণে বিভিন্ন সময়ে ক্ষোভ জানিয়ে এসেছে তুরস্ক। ন্যাটোর এই দুই মিত্রের মধ্যে এ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে কূটনৈতিক সম্পর্কে।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস