আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার কলাইকুন্ডা বায়ুঘাঁটি থেকে নিয়মমাফিক উড়ানে বের হয় বায়ুসেনার হক অ্যাডভান্সড জেট ট্রেনার বিমান। কিছুক্ষণ পর, ঝাড়খণ্ড-ওড়িশা সীমান্তের কাছে তা ভেঙে পড়ে। সময়মতো বিমান থেকে লাফ দেওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান শিক্ষানবীশ পাইলট। এই ঘটনায় কোর্ট অফ এনক্যোয়ারির নির্দেশ দিয়েছে বায়ুসেনা।
এদিকে কিছু দিন পূর্বে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে থাকতেই উড়োজাহাজটি ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২০০ ফুট উচ্চতায় নেমে আসে। এ সময় উড়োজাহাজটির ল্যান্ডিং গিয়ার বের হয়ে থাকতে দেখা যায়। এ কেমন তথ্য বেড়িয়ে আসল নেপালের বিধ্বস্ত বিমান নিয়ে?
নেপালের একটি দৈনিক কাঠমান্ডু থেকে বৃহস্পতিবার ভিডিওচিত্রসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভিডিওচিত্রটি বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজের।
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে প্রায় ১৮ মাইল দূরে গাগালপেদি এলাকায় উড়োজাহাজটি অনেকে নিচে নেমে আসে। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২০০ ফুট উপর দিয়ে যাচ্ছিল উড়োজাহাজটি। এ সময় মনে হচ্ছিল উড়োজাহাজটি যেন পাহাড়ের পাদদেশে বিধ্বস্ত হতে যাচ্ছে। যাত্রীরা এ সময় জানালা দিয়ে গাছপালা-ঝোপজঙ্গল দেখতে পান।
ভিডিওচিত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা বলতে শোনা যায়। তাঁরা বলছিলেন, ‘উড়োজাহাজটি পথ হারিয়ে ফেলেছে। উড়ছে তো উড়ছেই। এটা কোন বিমান সংস্থার উড়োজাহাজ? এটাকে নতুন মনে হচ্ছে।’ ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, উড়োজাহাজটির ল্যান্ডিং গিয়ার বের হয়ে আছে। সাধারণত উড়োজাহাজ রানওয়েতে অবতরণ করার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ল্যান্ডিং গিয়ার বের করা হয়।
গত সোমবার ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। ওই দিনই উড়োজাহাজটি ৭১ জন আরোহী নিয়ে ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। তাঁদের মধ্যে ৫১ জন নিহত হন।
এমটিনিজউজ২৪.কম/টিটি/পিএস