বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৮, ০৬:১৫:২৫

‘প্রেসিডেন্টের নির্দেশ পেলে আগামী সপ্তাহেই পরমাণু হামলা চীনে’

 ‘প্রেসিডেন্টের নির্দেশ পেলে আগামী সপ্তাহেই পরমাণু হামলা চীনে’

চীনের বিরুদ্ধে আগামী সপ্তাহেই পরমাণু হামলা করতে পারে আমেরিকা। শুধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশের অপেক্ষা। এমনটাই বললেন, মার্কিন পেসিফিক ফ্লিটের কমান্ডার ই চিফ অ্যাডমিরাল স্কট সুইফট। অস্ট্রেলিয়ান উপকূলে যৌথ মহড়া চলাকালীম এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি।

জানা গিয়েছে এই যৌথ মহড়ায় নজর রেখেছিল চিন। এমনকি চীনের গোয়েন্দাদের নিয়ে একটি জাহাজ উত্তর-পূর্ব অস্ট্রেলিয়াতেও যায়। এই প্রসঙ্গেই সুইফটকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দেন যে প্রেসিডেন্টের নির্দেশ পেলেই তিনি চীনে পরমাণু হামলা চালাতে রাজি।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্য শপথ নিয়েছেন দেশের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ও শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। প্রত্যেকে মিলিটারি অফিসারদের ও প্রেসিডেন্টকে মানতে বাধ্য।

অন্যদিকে, সম্প্রতি, চিনা সংবাদমাধ্যমে টার্গেট করা হয়েছে আমেরিকাকে। আমেরিকাই নাকি ভারত ও চীনের মধ্যে সামরিক সংঘাত উসকে দিতে চাইছে, এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্লোবাল টাইমসের পালটা দাবি, আমেরিকাই নাকি ভারত ও চীনের মধ্যে সামরিক সংঘাত উসকে দিচ্ছে।

গ্লোবাল টাইমস-এর অবজার্ভার সেকশনে বুধবার প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, যেখানেই সংঘাত দেখা যায়, সেখানে আমেরিকা ঝাঁপিয়ে পড়ে। সমস্যা সমাধানের স্বার্থে আমেরিকা কখনওই নিরপেক্ষ মনোভাব পোষণ করেনি। এক্সামিনার-এ প্রকাশিত নিবন্ধের উল্লেখ করে গ্লোবাল টাইমসে লেখা হয়েছে, ওই নিবন্ধ প্রত্যাশিতভাবেই চিন সম্পর্কে আশঙ্কার বিষয়টি ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্কের গুণগান করা হয়েছে। এরপর চিনা সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, এক্সামিনার-এর নিবন্ধে এই পক্ষপাতিত্বে ওয়াশিংটনের অবস্থানেরই প্রতিফলন ঘটেছে।

গ্লোবাল টাইমসে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগর ইস্যুতে ওয়াশিংটন যে অবস্থান নিয়েছে তা ডোকলাম ইস্যুতে ভারতকে সমর্থনে সেই অবস্থানেরই প্রতিফলন ঘটেছে। শুধু তাই নয়, চীনের সংবাদমাধ্যমটিতে বলা হয়েছে, কিছু পশ্চিমী শক্তি ভারত ও চীনের মধ্যে সামরিক সংঘাতের উস্কানি দিচ্ছে। নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, ভারত-চিন সংঘাত থেকে আমেরিকা কোনওভাবেই লাভবান হতে পারবে না। মার্কিন হস্তক্ষেপের কারণে চিন তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা থেকে পিছু হঠবে না।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে