শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৮, ০৮:৩৩:১৮

ক্ষুধার জ্বালায় ঘাস খাচ্ছেন কঙ্গোর মানুষ!

ক্ষুধার জ্বালায় ঘাস খাচ্ছেন কঙ্গোর মানুষ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সারা বিশ্বে প্রায় ১২ কোটি ৪০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে মিয়ানমার, নাইজেরিয়া, ইয়েমেন ও দক্ষিণ সুদানসহ রয়েছে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক। সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশগুলোতে। মৃত্যুর আশঙ্কায় এসব দেশের বহু শিশু।

এক মুঠো খাবারের খোঁজে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ক্ষুধার্ত মানুষ। নিরুপায় হয়ে ঘাস-পাতা, শামুক খেয়ে বেঁচে আছেন অনেকেই। খাবারের নামে যা মিলছে, তা ক্ষুধার্ত মুখের তুলনায় খুবই কম।

ক্ষুধার্তরা বলছেন, 'বাধ্য হয়েই শামুক খাচ্ছি। এটাও খুব সহজে পাওয়া যায় না। অনেকগুলো শামুক সংগ্রহ করলেও তা কেবল একটি দিনেরই খাবারের প্রয়োজন মেটায়।'

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক এক বার্ষিক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১৬ সালে সারা বিশ্বে খাদ্য সংকটে থাকা মানুষের সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৮০ লাখ। ২০১৭ সালে তা বেড়ে প্রায় ১২ কোটি ৪০ লাখে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক বছরে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১৫ শতাংশ।

বিশ্বজুড়ে চলমান সংঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকেই দুর্ভিক্ষের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছেন বিশেষজ্ঞরা।

দেখা যায়, ক্ষুধার্তদের মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ সংঘাতপূর্ণ দেশের বাসিন্দা। এসব দেশের যুদ্ধাবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় খাদ্য পরিস্থিতিরও ইতিবাচক কোন পরিবর্তন আসছে না।


খাদ্য সংকটের কারণে বাড়ছে পুষ্টিহীনতায় ভোগা মানুষের হারও। রোগ- বালাই বাড়ছে, কমছে জীবনমান আর গড় আয়ু। ২০১৮ সালে আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকা, কঙ্গো, নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া, মালি ও নাইজেরিয়ায় খাদ্য সংকট অভাব আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে। 
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে