আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উন্নয়নের বন্যায় ভাসছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য। বিশেষ করে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা! প্রায় প্রতিদিনই দু-চারটে ‘চোখ কপালে ওঠা’ উন্নয়ন খবর ছাপা হয় পত্রিকার পাতায়।
আর এর মধ্যেই নতুন করে শুরু হয়েছে আরেক উপদ্রব- কুকুর। দৃশ্যটা ঠিক এরকম-‘বেডে শুয়ে রয়েছেন মরণাপন্ন রোগী। আর তাদের পায়ের তলায় দিবা আলস্যে গা এলিয়ে বসে রয়েছে কুকুর!’ রাজ্যের হরদোই জেলা সদরের সরকারি হাসপাতালের চিত্র এটা।
ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রোগীদের সঙ্গে সদর্পে বসবাস করছে রাস্তার কুকুর। হাসপাতাল সুপারকে এই পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা।
অত্যন্ত ঠাণ্ডা গলায় তিনি বলেন, আমরা হাসপাতালের কর্মীদের বলেছি যাতে কুকুর ঢুকতে দেয়া না হয় ওয়ার্ডে। এর বেশি আর ভালো উত্তর তারা দিতে পারেননি।
হরদোই থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে সীতাপুরে নাকি গত কয়েকদিনে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে কুকুরের আক্রমণে। তাদের মধ্যে ৮ মাসের একটি শিশুও রয়েছে। এই রাজ্যেরই ‘ইটাহ সরকারি হাসপাতালে’- প্রসব বেদনায় ছুটে যাওয়া এক নারীকে ভর্তি না করেই ফিরিয়ে দেন চিকিৎসকরা।
পরে পথচারী নারীদের সহায়তায় স্টেশনের বাথরুমে শিশুর জন্ম দিতে বাধ্য হন ওই মহিলা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
নবজাতক মরে যায়। গত বছরের আগস্টে, গোর্খাপুরের বিআরডি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬০ শিশুর মৃত্যু হয়। ওই একই বছরের একই মাসে ভারতের হাসপাতাল ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটে।
লখনৌয়ের রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের মর্গে কুকুর ঢুকে কামড়ে কামড়ে খাচ্ছিল মরা মানুষের মুখ। এ নিয়ে সারা ভারত তোলপাড় হলেও রাজ্যের হাসপাতাল ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। এনডিটিভি।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস