আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিঙ্গাপুরের স্যান্টাসা দ্বীপে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল প্রচুর। যার আরেকটি প্রমাণ মিলেছে কিম জং-উনের কাছ থেকে।
সিঙ্গাপুরে কিমের শরীরের কোনো নমুনা যেন কারও কাছে না পৌঁছে সেজন্য ভাম্যমাণ টয়লেট নেওয়া হয়েছিল তার সঙ্গে। বলা হচ্ছে, কিমের মলের নমুনাও যেন কারও হাতে না পড়ে সেজন্যই এই সতর্কতা। শুধু তাই নয় যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষরের সময় কলম নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে প্রমাণিত হয় কিমের গোপনীয়তা রক্ষায় তার দেশ কতটা সতর্ক।
কলমেও এত ভয় কিমের, এ কি কাণ্ড করলেন! ব্রিটিশ সংবাদপত্র ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌথ ঘোষণার দলিলে স্বাক্ষর করতে যখন বসেছেন ট্রাম্প ও কিম, তখন দুজনের সামনেই ছিল একটি করে কলম। স্বাক্ষরের আগ মুহূর্তে দেখা যায়, কিমের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা হাতে দস্তানা পরে সাদা একটি কাপড়ে কলমটি ঘষছেন। পরিচ্ছন্ন কিংবা জীবাণুমুক্ত করার আগে তা কিমের হাতে দিতে দিতে চাচ্ছিলেন না তিনি।
ঠিক ওই মুহূর্তে এগিয়ে আসেন কিমের বোন কিম উ-জং, যিনি এখন ভাইয়ের উপদেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বে আছেন। তিনি দ্রুত আরেকটি কলম বাড়িয়ে দেন ভাইয়ের হাতে। এই কলমটিই নিরাপদ মনে করছিলেন কিমের বোন।
এরপর বোনের দেওয়া কলমেই কোরিয়া উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের অঙ্গীকারের ঐতিহাসিক দলিলে সই করেন ৩৫ বছর বয়সী রাষ্ট্রনেতা কিম। জীবাণু অস্ত্র নিয়ে সতর্ক থাকার পাশাপাশি কিমের দেহের কোনো নমুনা যেন কারও হাতে না পড়ে, সে বিষয়ে সব সময়ই সতর্ক কমিউনিস্ট রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী।