শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৮, ০৪:৪৬:৩২

১০০ শুটার নিয়ে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান!

১০০ শুটার নিয়ে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একদিকে পাহাড়, ঘনজঙ্গল ও ঝোঁপঝাড়, যা কিনা বাঘের লুকিয়ে থাকার জন্য আদর্শ জায়গা। রহস্যময় এক বাঘিনীর রাজত্ব সেখানে। ১৬০ কিলোমিটার এলাকায় রাজত্ব করছে সে।
ভারতের মহারাষ্ট্রের এক জঙ্গলে ওই বাঘিনীকে খুঁজে বের করতে চলছে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান। কিন্তু মানুষকে টেক্কা মারার মতো বুদ্ধি তার আছে। ১০০ শুটার নিয়ে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান!

বন বিভাগের কর্মকর্তা, বনরক্ষী, ট্রাংকুলাইজার বিশেষজ্ঞ, শার্প শুটার, ট্র্যাকার, পশু চিকিৎসকসহ সব মিলিয়ে ১০০ জনের বেশি লোকের একটি দল তার অনুসন্ধানে নেমেছে। বসানো হয়েছে ১০০টি ক্যামেরা ট্র্যাপ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ধরা যায়নি তাকে।

তবে অধৈর্য হয়ে উঠেছেন স্থানীয় গ্রামবাসী। তারা মনে করেন এই বাঘিনীট ভৌতিক ব্যাপার। তাই একে হত্যা করা হোক।

তবে বন বিভাগের প্রধান একে অপর্ণা বলছেন, কাজটি সহজ নয়। একদিকে পাহাড়, ঘনজঙ্গল ও ঝোঁপঝাড়, যা কিনা বাঘের লুকিয়ে থাকার জন্য আদর্শ জায়গা। অন্যদিকে অনেক জায়গা পায়ে হেঁটে ছাড়া যাওয়াই যায় না। সে জন্যই এ অভিযানে এত সময় লাগছে।

২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের মে মাস পর্যন্ত ওই এলাকায় এক হাজার ১৪৪ মানুষ বাঘ ও হাতির কবলে পড়ে মারা গেছেন বলে হিসাব দিয়েছে ভারতের পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

মহারাষ্ট্রের যে বাঘিনীকে হত্যার চেষ্টা করছে বন বিভাগ, সেটি এ পর্যন্ত পাঁচজন মানুষকে হত্যা করেছে। ডিএনএ টেস্টে নাকি তার প্রমাণ মিলেছে।

বন বিভাগের কর্মকর্তা কেএম অপর্ণা বলেন, সম্প্রতি একজনকে ক্ষেতে কাজ করার সময় হত্যা করেছে। এর পর সেই লোকটির দেহ টেনে নিয়ে গেছে জঙ্গলের দিকে। যখন গ্রামের মানুষ বাঘিনীর দিকে পাথর ছুড়ে মারছিলেন, সেটিকে মোটেই ভয় পেতে দেখা যায়নি। এটি মোটেই স্বাভাবিক আচরণ নয়।

হাতি নিয়ে জঙ্গলে ঢোকার অনেক সুবিধা। প্রথমত এ ধরনের দুর্গম জঙ্গলে বাহন হিসেবে হাতি অনেক ভালো। আর দ্বিতীয়ত হাতির পিঠ থেকে শার্প শুটারদের পক্ষে গুলি চালানোও অনেক সহজ। নিরাপদও বটে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে