বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮, ০৮:২৫:২৯

দুর্ঘটনায় মৃত মালিক, ঘটনাস্থলে ৮০ দিন ধরে কান্নাকাটি করছে পোষ্য কুকুরটি!

 দুর্ঘটনায় মৃত মালিক, ঘটনাস্থলে ৮০ দিন ধরে কান্নাকাটি করছে পোষ্য কুকুরটি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কুকুর খুবই প্রভুভক্ত আমরা সবাই জানি। সাধারণত নিজের প্রভুর জন্য নিজের জীবন দিয়েছে এমন নজিরও কম নয়। তেমনই মনিবের জন্য আরেক নজির গড়লো চীনের হোহত শহরের একটি পোষ্য কুকুর। মালিক মারা গেছে প্রায় ৮০ দিন হল। কিন্তু তার সেই কুকুর সেই জায়গাতেই ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো সেই ৮০ দিনই।

স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ইনার মঙ্গোলিয়ায় হোহত রোডের মাঝখানে একটি কুকুর অপেক্ষা করছে। ৮০ দিন আগে ঠিক এখানেই তার মালিকের মৃত্যু হয়েছিল। আর মালিকের শোকে ওই স্থানে বসে কান্নাকাটি করছে কুকুরটি।

চীনের জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগ সিনা ওয়েইবোয় কুকুরটির অপেক্ষায় থাকার ওই ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। ভিডিওটি প্রকাশ পাওয়ার পর তা লাখ লাখ মানুষ দেখেছে।

চীনের পিয়ার ভিডিও ওয়েবসাইট জানিয়েছে, ২১ আগস্ট মালিকের মৃত্যুর পর থেকে কুকুরটিকে প্রতিদিনই ওই রাস্তায় দেখা গেছে।

একজন ট্যাক্সি চালক বলেছেন, কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে গেলেই কুকুরটি পালিয়ে যেত। তিনি বলেন, অনেক সময় গাড়িচালকরা কুকুরটিকে খাবার দেয়। কিন্তু আমরা কেউ গাড়ি থেকে বের হলেই কুকরটি চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, মালিকের সঙ্গে কুকুরটির বন্ধন ছিল খুবই গভীর। সে মারা যাওয়ার পর কুকুরটি অতন্দ্র প্রহরীর মতোই অপেক্ষায় থেকেছে। প্রতিদিনই সে রাস্তায় থেকেছে। আমি সবসময়ই এটিকে দেখি।

মালিক যেখানে মারা গেছে সে জায়গার মায়া ছাড়তে পারেনি পোষ্য কুকুরটি। সবাই ভুলে গেলেও কুকুরটি ঠিকই মনে করে সে জায়গাতে রয়ে গেল। প্রথম মানুষ মনে করেছিল, কুকুরটি রাস্তা পারাপারের জন্য  অপেক্ষা করছিল, তাই অনেকে সাহায্যর জন্য এগিয়ে আসলেও এড়িয়ে গেছে কুকুরটি। তবে এক নাগাড়ে ৮০ দিন এক জায়গায় থাকাতে উদঘাটন হল আসল বিষয়। পড়ে সেই কুকুরকে ওখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। 

গত ১০ নভেম্বর কুকুরের ওই ভিডিওটি ধারণ করা হয়। এরপরই সেটি সিনা ওয়েইবোতে শেয়ার করা হয়।

এই ঘটনা হাচিকো মুভির কথা মনে করিয়ে দেয়। সেই যে জাপানের একটি কুকুর যে কিনা মালিকের জন্য স্টেশনেই কাটিয়েছে কয়েক বছর। তবে মালিকের মৃত্যুর কারণে সেই কুকুর আর পাইনি তার মালিকের দেখা। আর মালিকের অপেক্ষায় সেখানেই মৃত্যু হয়েছিল কুকুরটির।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে