শুক্রবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৫:৩২:৩৪

আমরা আর কখনও আপনাদের ভাড়াটে খুনি হব না: ট্রাম্পকে ইমরান

আমরা আর কখনও আপনাদের ভাড়াটে খুনি হব না: ট্রাম্পকে ইমরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, আমরা আর কখনও আপনাদের ভাড়াটে খুনি হব না।

মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইমরান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সঠিক সম্পর্কটিই চাচ্ছেন তিনি।

বেশ কয়েক দিন আগে ইমরান খানকে লেখা এক চিঠিতে আফগান যুদ্ধের অবসানে ও তালেবানকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসতে পাকিস্তানের সহায়তা চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্পের সঙ্গে টুইটার যুদ্ধ নিয়ে ইমরান খান বলেন, এটি সত্যিকার অর্থে কোনো টুইটার যুদ্ধ ছিল না। বরং সত্য কথাগুলো প্রকাশ করতে এসব কথা বলা হয়েছে।

দুই নেতার টুইটার লড়াইয়ে আফগানিস্তানে ব্যাপক ত্রুটিপূর্ণ মার্কিন নীতিকে দায়ী করা হয়েছে।

তালেবানকে আশ্রয় দেয়ার মার্কিন অপপ্রচার অস্বীকার করে তিনি বলেন, এখানে তালেবানের কোনো আশ্রয় নেই।

জঙ্গিদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইমরান খান বলেন, আমরা ২৭ লাখ আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছি। আফগান-পাকিস্তান সীমান্তের বড় অংশ নজরদারিতে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উপগ্রহ ও ড্রোন আছে। এসব লোক সীমান্ত পাড়ি দিলে তাদের দেখতে পাওয়ার কথা।

ট্রাম্পের সহায়তা চাওয়া প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের স্বার্থে আফগানিস্তানের শান্তি প্রতিষ্ঠা দরকার। আমরা সব কিছু করব।

‘আমরা বছরের পর বছর ধরে বলে আসছি- আফগানিস্তান সংকট সামরিক উপায়ে সুরাহা হবে না। তারা আমাকে তালেবান খান বলে ডাকছেন। যদি আপনি মার্কিন নীতির সঙ্গে একমত পোষণ না করেন, তবে আপনি আমেরিকাবিরোধী।’

ইমরান খান বলেন, আজ আমি বড়ই খুশি যে সবাই বুঝতে পেরেছেন-আফগান সংকটের সমাধান কেবল রাজনৈতিকভাবেই সম্ভব। পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমি বলেছিলাম- ১৯৮৯ সালের মতো তাড়াহুড়ো করে তাদের আফগানিস্তান ছাড়া উচিত হবে না।

পাক-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, আমরা এমন কোনো সম্পর্ক চাই না, যেখানে পাকিস্তানকে ভাড়াটে খুনি হিসেবে মূল্যায়ন করা হবে। অর্থাৎ যুদ্ধে লড়াইয়ের বিনিময়ে কাউতে অর্থ পরিশোধ করা।

পাকিস্তান কখনই নিজেকে ফের এমন অবস্থায় নিয়ে যাবে না বলে মন্তব্য করেন ইমরান।

তিনি বলেন, এতে কেবল আমাদের লোক ক্ষয় ও উপজাতীয় এলাকায় বিপর্যয় নেমে আসছে না, আত্মমর্যাদাও ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ন্যায়সঙ্গত সম্পর্কটিই গড়তে চাই আমরা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে