সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৯:২৮:০৭

শিক্ষিকার বকুনি খেয়ে তিনতলা থেকে ছাত্রীর ঝাঁপ

শিক্ষিকার বকুনি খেয়ে তিনতলা থেকে ছাত্রীর ঝাঁপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাবার সামনে প্রধান শিক্ষিকার বকুনিতে অপমান বোধ করায় স্কুলের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিল নবম শ্রেণির এক ছাত্রী৷ ১৪ বছর বয়সী ওই ছাত্রী নিশা পাণ্ডের বাড়ি ভারতের উত্তর হাওড়ার নন্দীবাগানে৷ কো-এডুকেশন জৈন স্কুলের ছাত্রীর ছোট বোনও ওই স্কুলেই পড়ে৷ নিশাকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ তার অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।

ওই স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ৷ কয়েকদিন আগে মোবাইল ফোন নিয়ে ক্লাসে এসে ধরা পড়ে যায় নিশা৷ তাকে বকাঝকা করেন শিক্ষকরা৷ তার অভিভাবককে ডেকে পাঠান প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমি ঘোষ৷ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে নিশা তার বাবা কামেশ্বর পাণ্ডেকে নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার অফিসে যায়৷ বাবার সামনেই শিক্ষকরা তাকে বকাঝকা করেন এবং স্কুলের নিয়ম না মানলে বহিষ্কার করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়৷

এই কথার পরই এক ফাঁকে সকলের নজর এড়িয়ে নিশা তিনতলায় উঠে গিয়ে বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয়৷ নিচতলায় সিমেন্টের মেঝেতে পড়ে গিয়ে তার মাথা ফেটে যায়৷ তাকে দ্রুত শিবপুরের জৈন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ চিকিত্‍সকরা জানিয়েছেন নিশার অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হচ্ছে৷

প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমি ঘোষ বলেন, 'বাবার সামনেই মেয়েটিকে ডেকে এনে সাবধান করা হয়েছিল৷ কিন্তু ও যে আচমকাই এমন করবে, তা বোঝা যায়নি৷ এই বয়সে ছেলেমেয়েদের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা হয়৷ তাই ছাত্র-ছাত্রীদের কাউন্সেলিং করার কথা ভাবা হচ্ছে৷' মেয়েটির বাবা কামেশ্বর পাণ্ডেও বলেন, 'আমার মেয়ে স্কুলে মোবাইল ফোন ও লিপস্টিক নিয়ে স্কুলে গিয়েছিল৷ তাই আমাকে স্কুলে ডেকে পাঠানো হয়েছিল৷ আমার সামনেই ওকে বকাবকি করা হয়৷ কিন্তু ও এমনটা করবে আমরা কেউই তা বুঝতে পারিনি৷' নিশার ব্যাগ থেকে লিপস্টিক, নেলপালিশ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে৷
১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে