শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭, ০৪:০৫:০৭

সালমানের যে ছবিগুলি আর কোনও দিনই মুক্তি পাবেনা

সালমানের যে ছবিগুলি আর কোনও দিনই মুক্তি পাবেনা

বিনোদন ডেস্ক: সলমন খান নিজেকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন যেখানে তিনি একাই কোটি কোটি দর্শকককে সিনেমা হলে টেনে নিয়ে আসতে পারেন। সেই কারণে তিনি বি টাউনের ‘সুলতান’।

 সলমনের স্টারডামটা এমন জায়গায় পিয়ে পৌঁছেছে যে তাঁর কোনও ছবি মুক্তি পেলে, একশো কোটির ক্লাবে ঢোকা আটকায় কার সাধ্যি! কিন্তু সল্লুভাইয়ের এই ব্যাপক স্টারডাম একদিনে আসেনি।

 কেরিয়ারের শুরুর দিকে অনেক চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে তাঁকে। এ হেন হিট মেশিন সলমনেরও বেশ কয়েকটি ছবি মুক্তিই পায়নি। কোনওটার কাজ কিছুটা এগিয়েছিল, কোনওটা আবার প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। তেমনই কয়েকটি ছবির হদিশ রইল সঙ্গের গ্যালারিতে।

সালমানের যে ছবিগুলি আর কোনও দিনই মুক্তি পাবেনা দেখে নিন:

রণক্ষেত্র: ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’র পর সলমন খান এবং ভাগ্যশ্রী জুটি ভীষণ ভাবে হিট হয়েছিল। তাঁরা দু’জনে ‘রণক্ষেত্র’ নামে একটি ছবিতে সই করেছিলেন। কিন্তু এর কিছু দিন পরেই ভাগ্যশ্রীর বিয়ে হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় শুটিং।

দিল হ্যায় তুমহারা: ১৯৯১ সালে সলমন খান, সানি দেওল এবং মীনাক্ষি শেষাদ্রীকে নিয়ে রাজকুমার সন্তোষী শুরু করেছিলেন ‘দিল হ্যায় তুমহারা’। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মাত্র একদিন এই ছবির শুটিং হয়েছিল। বিভিন্ন কারণে ছবির শুটিং পিছিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত আর এই ছবির শুটিং শেষ হয়নি।

ঘেরাও: ‘দিল হ্যায় তুমহারা’ ছবির প্রজেক্টটি ভেস্তে যাওয়ার পর রাজকুমার সন্তোষী ফের সলমনকে নায়ক এবং
মণীষা কৈরালাকে নায়িকা করে ‘ঘেরাও’ নামে একটি ছবি তৈরি শুরু করেন। কিন্তু এই ছবির শুধুই মহরত হয়েছিল। শুটিং পর্যন্তও এগোয়নি ‘ঘেরাও’।

অ্যায় মেরে দোস্ত: সলমন, সলমনের ভাই আরবাজ খান, দিব্যা ভারতী এবং করিশ্মা কপূরকে নিয়ে ‘অ্যায় মেরে দোস্ত’ নামে একটি ছবি করার কথা ছিল। এমনকী ছবির জন্য গানও রেকর্ডিং সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ছবিটি হয়নি। পরবর্তী কালে গানগুলি অন্য ছবিতে ব্যবহার করা হয়।

বুলন্দ: ‘বুলন্দ’ নামে একটি ছবির প্রায় অর্ধেক শুটিং হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় শোনা যায় সলমন নাকি সোমি আলির সঙ্গে ডেট করছিলেন। সেই সোমিই ছিলেন এই ছবির নায়িকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছবিটি আর শেষ হয়নি।

রাম: ১৯৯৪ সালে সোহেল খানের পরিচালনায় ‘রাম’ নামে একটি ছবির কাজ শুরু হয়।
শুটিং চলতে থাকে। কিন্তু বাজেট ছাড়িয়ে যাওয়ায় এই ছবির কাজও বন্ধ হয়ে যায়।
ছবিতে সলমন ছাড়াও অনিল কপূর ও পূজা ভট্ট ছিলেন।

চোরি মেরা নাম: সুনীল শেট্টি, শিল্পা শেট্টি, কাজলের সঙ্গে এই ছবিতে ছিলেন সলমনও। এই ছবিটির কাজও মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু এই ছবির সুবাদে সুনীল এবং সলমন জুটিকে একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হয়।

দশ: ১৯৯৭ সালের এই ছবির শুটিং শুরু হয়। ছবিতে ছিলেন সলমন, সঞ্জয় দত্ত, রবিনা ট্যান্ডন। ছবি তৈরির মাঝপথেই ছবির পরিচালক মুকুল এস আনন্দ মারা যান। বন্ধ হয়ে যায় ছবির শুটিং। ছবিটি মুক্তি না পেলেও, এই ছবির গান ১৯৯৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল।

রাজু রাজা রাম: সলমন, গোবিন্দ, জ্যাকি শ্রফ এবং মণীষা কৈরালাকে নিয়ে শুরু হয় এই ছবির শুটিং। ছবির পরিচালক ছিলেন ডেভিড ধবন। কিন্ত আর্থিক কারণে ছবিটি বন্ধ হয়ে যায়।

আঁখ মিচোলি: ‘জুড়য়া’ ছবির সাফল্যের পর আনিস বাজমী সলমনকে নিয়ে একটি ছবি শুরু করেন।
এই ছবিতেও সলমন দ্বৈত চরিত্রে ছিলেন। কিন্তু ছবিটির শুটিং শুরুর আগেই আরও একটি ছবিতে ডাবল রোল করবেন না বলে সলমন বেঁকে বসেন।

জলবা: সঞ্জয় দত্ত, আরমান কোহালি এবং সল্লুভাইকে ১৯৯৮ সালে একটি অ্যাকশন ছবিতে সই করান পরিচালক কেতন মেহতা।
কিছু দিন পরে তিনি একটি পারিবারিক ছবি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই কারণে ‘জলবা’ ছবিটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

সাগর সে গেহরা পেয়ার: রবিনা ট্যান্ডন এবং সলমনকে নিয়ে এই ছবি হওয়ার কথা থাকলেও, শেষ পর্যন্ত শুটিং ফ্লোর পর্যন্ত গড়ায়নি ‘সাগর সে গেহরা পেয়ার’।

হ্যান্ডসাম: এই ছবিটিরও কাজ সামান্যই এগিয়েছিল।ছবিটিতে সলমনের সঙ্গে সঙ্গীতা বিজলানি এবং নাগমাকে সই করানো হয়েছিল।

নো এন্ট্রি মে এন্ট্রি: নো এন্ট্রির সাফল্যের পর এই ছবির সিক্যুয়াল হওয়ার কথা ছিল। শোনা যায় আনিস বাজমি’র পরিচালনায় এই ছবিটির চিত্রনাট্যও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ছবিটি তৈরি হওয়া নিয়ে বি টাউনে গুঞ্জনও উঠেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও কিছুই হয়নি।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টি,জে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে