মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭, ১২:২৭:১৫

জানাজার বিষয়ে বড় ছেলে বাপ্পারাজকে যা বলে গিয়েছিলেন নায়করাজ

জানাজার বিষয়ে বড় ছেলে বাপ্পারাজকে যা বলে গিয়েছিলেন নায়করাজ

বিনোদন ডেস্ক : চলে গেলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাক। গতকাল সোমবার (২১ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই মহা নায়ক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নায়করাজ রাজ্জাকের মরদেহ ঢাকার গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘর থেকে তার প্রিয় কর্মস্থল এফডিসিতে আনা হয়। এরপর দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজার পর বনানীতে তার দাফন সম্পন্ন হবে।

জানাজার বিষয়ে কিছু কথা বলে গিয়েছিলেন রাজ্জাক। ‘আমার নামাজে জানাজা যেন একবারই হয় এবং তা আজাদ মসজিদে যেন দেওয়া হয়’। তার জানাজার বিষয়ে এভাবেই বলে গিয়েছিলেন বলে জানান রাজ্জাকের বড় ছেলে বাপ্পারাজ।

২১ আগস্ট সোমবার নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুর পর রাতে একথা জানান বাপ্পারাজ।

এদিকে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২২ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ নেওয়া হবে। এরপর এফডিসি ও গুলশান আজাদ মসজিদে তার নামাজে জানাজা হওয়ার পর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

রাজ্জাকের ছোট ছেলে চিত্রনায়ক সম্রাট বলেন, ‘বাবা আজাদ মসজিদে নামাজ পড়তেন। ওই মসজিদে বাবার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। সেখানে নামাজের জন্য তার প্রিয় একটি জায়গা ছিল। এজন্য সেখানে জানাজা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

নায়ক রাজ্জাকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন। তার মৃত্যুতে সংস্কৃতি অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

উল্লেখ্য, রাজ্জাক পশ্চিমবঙ্গের (বর্তমান ভারতের) কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় স্বরসতী পূজা চলাকালীন সময়ে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা নাটক বিদ্রোহীতে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়ক রাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা।

তিনি ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান। প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে "ঘরোয়া" নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের তেরো নাম্বার ফেকু ওস্তাগড় লেন চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক।

পরবর্তীতে কার বউ, ডাক বাবু, আখেরী স্টেশন-সহ আরও বেশ ক'টি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করে ফেলেন। পরে বেহুলা চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন সদর্পে। তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র।

১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সাথেই ঢালিউডে সেরা নায়ক হয়ে অভিনয় করেন রাজ্জাক। এর মধ্য দিয়েই তিনি অর্জন করেন নায়করাজ রাজ্জাক খেতাব। অর্জন করেন একাধিক সম্মাননা। এছাড়াও, রাজ্জাক জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে