বিনোদন ডেস্ক : অপু বিশ্বাসকে সম্প্রতি ডিভোর্সের নোটিশ পাঠিয়েছেন শাকিব খান। সেই ঘটনা এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। এ বিষয়ে অপু কিছুদিন চুপ থাকলেও গতকাল একটি দৈনিকে মুখ খুলেছেন। সেখানে তিনি শাকিব খানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছে।
অপু জানান, শাকিব তাকে জোর করে ধর্মান্তরিত করেছে, বিয়ে করেছে। তাই তার এই অমানবিক সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেব না। এবং জয়ের জন্মের আগে শাকিবের আপত্তির মুখে তিনবার অ্যাবরশন করাতে হয়েছে অপুকে।
অপু বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চাইছি। কারণ ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার পর আজ আমাকে শাকিব তালাক দিতে চাইছে। আমি এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াব। আমার সম্প্রদায় তো এখন আমাকে আর স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবে না।
মানবাধিকার ও নারী সংগঠনগুলোর কাছে সহায়তা চেয়ে অপু বলেন, সেলিব্রেটি হলেও আমার সামাজিক মর্যাদা রয়েছে। ডিভোর্সের মতো একটি ন্যক্কারজনক সিদ্ধান্ত কখনো মেনে নেওয়া যায় না। অপুর কথায়, সংসারে ঝগড়া, ঝামেলা থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। শাকিবের সিদ্ধান্ত মেনে নিতাম যদি একই ধর্মের হতাম। আমাকে ও জোর করে ধর্মান্তরিত করেছে, বিয়ে করেছে। তাই তার এই অমানবিক সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেব না।
অ্যাবরশন করানো নিয়ে অপু বলেন, জয়ের জন্ম নিয়েই শাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সন্তানের জন্ম হোক এটি শাকিব চায়নি। জয়ের জন্মের আগে শাকিবের আপত্তির মুখে তিনবার অ্যাবরশন করাতে হয়েছে তাকে। জয় যখন গর্ভে আসে তখন অ্যাবরশন করানোর জন্য আমাকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে পাঠায় শাকিব। সেখানকার চিকিৎসক জানান, যেহেতু আগে তিনবার অ্যাবরশন হয়েছে আর নতুন করে কনসেপ্টের সময় ৪ মাস হয়েছে, সেহেতু অ্যাবরশন করানো ঝুঁকিপূর্ণ।
তিনি বলেন, এরপর শাকিব আমাকে কলকাতা পাঠায় অ্যাবরশন করানোর জন্য। সেখানে শাকিব তখন ‘শিকারি’ ছবির শুটিং করছিল। শাকিব তার চাচাতো ভাই মুনিরকে দিয়ে আমাকে কলকাতার একটি হাসপাতালে পাঠায়। সেখানকার চিকিৎসকরাও অ্যাবরশন ওই সময় ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তা করতে অস্বীকার করেন। তখন আমি সন্তান জন্মদানের সিদ্ধান্ত নেই। আর এতেই শাকিব আমার ওপর খেপে যায়।
অপু বলেন, তার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সে আমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয় এমন কি আমার মোবাইল নাম্বারও ব্লক করে দেয়। এতে মুনিরের মাধ্যমে শাকিবের সঙ্গে আমার যোগাযোগ চলতে থাকে। যে কোনো বিষয়ে শাকিবের অনুমতি নিতে মুনিরের মাধ্যমে তাকে জানিয়ে আসছি।
এমটিনিউজ/এসএস