বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮, ০৪:১১:৪৪

আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া দুই বাংলায়, যা বললেন ভক্ত-অনুরাগীরা…

আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া দুই বাংলায়, যা বললেন ভক্ত-অনুরাগীরা…

বিনোদন ডেস্ক: চলে গেলেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু।  তাঁর মৃত্যুতে বাংলাগানের এক স্বর্ণাক্ষরে লেখা অধ্যায় শেষ হলো।  বৃহস্পতিবার সকালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।  মৃত্যুকালে তাঁর বয়েস হয়েছিল ৫৬ বছর।  তাঁর অকালমৃত্যুতে শোকের ছায়া এখন দুই বাংলায়।

আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।  নানা অঙ্গনের তারকারা ছুটে যাচ্ছেন হাসপাতালে।  এরইমধ্যে বাচ্চুকে দেখতে স্কয়ার হাসপাতালে হাজির হয়েছেন নাসির উদ্দিন ইউসূফ বাচ্চু, ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী, মানাম আহমদে, কুমার বিশ্বজিৎ, প্রিন্স মাহমুদ, ঐশী, এলিটা, হানিফ সংকেতসহ আরও অনেকেই।

আইয়ুব বাচ্চুকে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান বাচ্চুর ভক্ত-অনুরাগীরাও।  ফেসুবকে চলছে শোকের মাতম।

কলকাতা বাংলা ব্যান্ড ফসিলসের জনপ্রিয় ভোকাল রূপম ইসলাম জানান, ‘আমার গড়ে ওঠার প্রতিটি পরতে ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু।  শুরুর দিকে তিনি বলতেন, রক হচ্ছে না কলকাতায়।  আমি জানি তুই করবি।  যে জীবনীশক্তি দেখাতে দেখাতে চলে গেলেন তা অবিশ্বাস্য।  শেষ যে বার কলকাতায় এলেন, বাড়িতে এলেন।  আমরা একসঙ্গে গানবাজনা করলাম।  ফেসবুক লাইভে বললেন, এটা আমাদের প্রথম গানবাজনা নয়।  শেষ গানবাজনাও নয়।  তাঁর সঙ্গে সেটাই যে শেষ গানবাজনা আমি বুঝিনি।’’

চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক কর্মী সেলিম রেজা সাগর  লিখেছেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু…আমার কৈশোর ও তারুণ্যের মুগ্ধতা।।  ভালো থাকুন ওপারে…’

গায়ক লাবিক কামাল গৌরব বললেন, ‘বাচ্চুভাইয়ের মৃত্যু বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির বড় ক্ষতি।  এই ক্ষতি সামলানোর ক্ষমতা আমাদের নেই।’

১৯৬২ সালের ১৬ অগস্ট চট্টগ্রাম শহরে আইয়ুব বাচ্চুর জন্ম।  ১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মধ্যে দিয়ে তাঁর সঙ্গীত জীবনের বেশি সময়।  বাংলা গানের খোলনলচে বদলে ফেলে তাকে পশ্চিমী আঙ্গিকের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন করে পরিবেশন করে আইয়ুব জন্ম দিয়েছিলেন নতুন এক সংগীতবীক্ষার।  হয়ে উঠেছিলেন বাংলা ব্যান্ডের প্রধান ঋত্বিক।   বাংলাদেশে বাংলা গান আর আইয়ুব বাচ্চু সমার্থক হয়ে উঠেছিল।

১৯৯০-এর দশকে দুই বাংলায় গিটার হাতে নতুন গানের সন্ধানে যেতে চেয়েছিল যে ছেলেমেয়েরা, তাঁদের আইকন ছিলেন বাচ্চু।  ‘ফেরারি মন’(১৯৯৬), ‘মন চাইলে মন পাবে’(২০০০), ‘অচেনা জীবন’(২০০৩) প্রভৃতি অ্যালবামগুলি ছিল দুই বাংলার নতুন প্রজন্মের প্রিয় সম্পদ।

১৯৯১ সালে জন্ম নেওয়া ‘এলআরবি’ ব্যান্ড দলের লিড গিটারিস্ট ও প্রধান গায়ক ছিলেন তিনি।  এর আগে তিনি প্রায় দশ বছর সোলস ব্যান্ডের সঙ্গে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন।  গিটার তাঁর হাতে কথা বলতো।  জো স্যাত্রিয়ানি, স্টিভ ভাই, পেত্রোচির মতো আন্তর্জাতিক গিটারিস্টদের সঙ্গে একাসনে বসানো হতো তাকে।

শ্রোতা-ভক্তদের কাছে এবি (AB) নামেও পরিচিত।  তাঁর ডাক নাম রবিন।  মূলত রক ঘরানার কন্ঠের অধিকারী হলেও আধুনিক গান, ক্লাসিকাল সঙ্গীত এবং লোকগীতি দিয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে