বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের মহাননায়ক আইয়ুব বাচ্চু। রুপালী গিটার ফেলে সবাইকে কাঁদিয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) নানা ফেরার দেশে উড়াল দিয়েছেন এই কিংবদন্তি শিল্পী।
মোঃ আব্দুল আলীম লোহানী (৬৫)। তিনি আইয়ুব বাচ্চুর ছোট মামা। চট্টগ্রাম শহরের পূর্ব মাদারবাড়ী বালুরমাঠে অবস্থিত নিজ বাসায় একান্ত সাক্ষাতকারে বলেন, বাচ্চু ছোট থেকেই আমাদের কাছে বড় হয়েছে। তার স্মৃতি কখনো ভোলার নয়।
তিনি বলেন, ‘বাচ্চু সব সময় আমাদের বাসায় আসতো। এই তো কয়েকদিন আগেই আমাদের বাসা থেকে এসে ঘুরে গেল। যখনিই চট্টগ্রামে আসতো তখনিই আমার সাথে দেখা করতো। সময় পেলেই আমার বাসায় আসতো। এখন তো আর কোনোদিন আসবে না। আমাকে ফোন করে বলবে না যে মামা আমি দেশের বাইরে চলে যাচ্ছি। এসে আবার কথা হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘বাচ্চু যে সারা বাংলাদেশের একজন স্টার তা সে আমার এখানে আসলে কখনোই ভাবে নাই। আমার বাসাই এসেই আমার পায়ে ধরে সালাম করতো। কখনো সে নিজেকে বড় ভাবে নাই। আর সে আমার কাছে ছোট্ট বাচ্চুই রয়ে গেছে। আমি এখনো ভাবতে পারছি না যে আমাদের ছোট্ট বাচ্চুটা আমাদের মাঝে নেই’।
তিনি বলেন, ‘এই বাচ্চুকে আমি বিয়ে করিয়েছি ১৯৯১ সনে। তার পছন্দের মেয়েকেই বিয়ে করিয়েছি। তার শ্বশুর বাড়ি বরিশালে। বিয়ে করানোর পর সে তার পরিবারকে নিয়ে ঢাকা থাকতেন। ভালোই ছিল তাদের জীবন। আজ সে নেই। তার স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে এখন এতিম হয়ে গেল’।
বাচ্চুর মামা আলীম লোহানী বলেন, ‘আমার বাবা মানে বাচ্চুর নানা মরহুম হাজ্বী আব্দুল লতিফ ও নানু মরহুমা আম্বিয়া খাতুন বাচ্চুকে সবচেয়ে বেশি আদর করেছেন। আর তার জননী বাচ্চুর মা আমার বোন সেও অনেক আদর করেছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘বাচ্চুর মা নূরজাহান বেগম ২০০৪ সালের ২ ডিসেম্বর মারা যায়। তার মাকেও আমি দাফন করেছি। আর এখন বাচ্চুকেও আমার হাতেই দাফন করতে হচ্ছে। এই কথা ভাবতেই আমার অবাক লাগছে। আজ আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি সবার কাছে আমার ভাগ্নে বাচ্চুর জন্য দোয়া চাই’।