শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:১২:৪৩

মৃত্যু সংবাদ শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না গোলাপী খ্যাত ববিতা

মৃত্যু সংবাদ শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না গোলাপী খ্যাত ববিতা

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা তার ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ সিনেমা দিয়ে মন জয় করে নিয়েছিলেন সারা দেশের মানুষের। এই সিনেমায় গোলাপী চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি পেয়েছিলেন জনপ্রিয় চিত্র নায়িকা ববিতা। নির্মাতা আমজাদ হোসেনকে অনেত শ্রদ্ধা করতেন তিনি। প্রিয় এই মানুষটির অসুস্থতার খবর শুনে হাসপাতালে তাকে দেখতে ছুটি গিয়েছিলেন ববিতা।

আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন এই নির্মাতা। ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন এই কিংবদন্তি এই নির্মাতা। গুণী এই নির্মাতার মৃত্যু সংবাদ শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না গোলাপী খ্যাত ববিতা।

শুক্রবার বিকেলে আমজাদ হোসেনের মৃত্যু সংবাদ শুনে ববিতা জানতে চাইলেন কখন দেশে নিয়ে আসা হবে তাকে বললেন, ‘কতো স্মৃতি যে আছে আমজাদ ভাইয়ের সাথে। উনার অনেক ছবিতে অভিনয় করেছি। তার পরিচালিত আমার অনেকগুলো সিনেমা জনপ্রিয়। তার মৃত্যু সংবাদ খুবই দুঃখের। তার মতো এমন জিনিয়াস মানুষ আমি জীবনে খুব কম পেয়েছি। তার আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করি।’

ববিতা আরও বললেন, ‘‘ সারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের গল্প ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’। যেসময় মুক্তি পায় সেসময়ের প্রতিটি গ্রাম বাংলার মানুষের গল্প। এটি। ছবির প্রত্যেকটা ডায়ালগ কি যে অসামান্য ছিলো, ভাবতেও ভালো লাগে এখন। সেসময়তো অফিস আদালতেও ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’র ডায়ালগগুলো বলে বেড়াত।’

ব্রেন স্ট্রোক করে গত ১৮ নভেম্বর সকালে তেজগাঁয়ের ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নির্মাতা আমজাদ হোসেন। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই ছিলেন টানা লাইফ সাপোর্টে। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাতে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে। সেখানে প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন এই কিংবদন্তি নির্মাতা।

আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় জনপ্রিয়তা পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ ইত্যাদি।

১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া নানামাত্রিক কাজের জন্য ১৪ বার জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। একইসাথে বাংলা একাডেমী পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে